Taiwan Indigenous Submarine: তাইওয়ান এবং চিনের মধ্যে বিরোধ চলছে। চিন প্রতিদিন তাইওয়ানকে হুমকি দিয়ে চলেছে। কিন্তু এখন তাইওয়ান তার নৌ সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। তাইওয়ান তাদের প্রথম দেশীয় সাবমেরিন তৈরি করেছে।
চিনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, তাইওয়ান তাদের প্রথম দেশীয় সাবমেরিন তৈরি করেছে। এখন এটি সমুদ্র পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত। এটি তাইওয়ানের কৌশলগত শক্তি বৃদ্ধিতে কাজ করবে। তবে, এটি চিনের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে। তাকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে।
তাইওয়ান তাদের প্রথম দেশীয় প্রতিরক্ষা সাবমেরিন তৈরি করেছে। এর সমুদ্র পরীক্ষা শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তাইওয়ানের সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই সাবমেরিনের নাম হাই কুন (SS-711)।
হাই কুন সাবমেরিনটি তাইওয়ানের জাহাজ নির্মাণ সংস্থা সিএসবিসি কর্পোরেশন তৈরি করেছে। মনে করা হয় যে দেশীয় সাবমেরিনের উন্নয়ন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা কৌশলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে এই সাবমেরিন তাইওয়ানের নৌবাহিনীকে আধুনিকীকরণ করবে, যা অন্যান্য দেশের উপর নির্ভরতা কমাবে।
এই সাবমেরিনটি ৩৫০ মিটার গভীরতা পর্যন্ত ডুব দিতে পারে। এটি আমেরিকান MK48 Mod 6 টর্পেডো দিয়ে সজ্জিত, যা শক্তিশালী এবং সুনির্দিষ্ট জলের নীচে আক্রমণ চালাতে সক্ষম।
ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এই সাবমেরিনটি UGM-84L হারপুন মিসাইল দিয়ে সজ্জিত হবে। এটি ভূপৃষ্ঠের জাহাজগুলিকে লক্ষ্য করে তৈরি করা হয়েছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি তাইওয়ানকে সামুদ্রিক প্রতিরক্ষায় এক অগ্রণী ভূমিকা দিতে পারে।
তাইওয়ানের তৈরি সাবমেরিন চিনের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে। চিন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে তাইওয়ানের বাড়তে থাকা কৌশলগত শক্তি ড্রাগনের জন্য উদ্বেগের বিষয় হতে পারে।