অবৈধ অনুপ্রবেশ!…তাইওয়ানের হাতে বন্দী চিনের নৌসেনা কর্তা

চিন-তাইওয়ানের মধ্যে বেড়েই চলেছে উত্তেজনার পারদ। অবৈধভাবে জলসীমা পেরোনোর অভিযোগে তাইওয়ান কতৃপক্ষের হাতে বন্দী হল চিনের অবসরপ্রাপ্ত এক নৌসেনা কর্তা। এই ঘটনার জেরে তাঁকে সামরিক…

taiwan-arrested-chinese-naval-officer

চিন-তাইওয়ানের মধ্যে বেড়েই চলেছে উত্তেজনার পারদ। অবৈধভাবে জলসীমা পেরোনোর অভিযোগে তাইওয়ান কতৃপক্ষের হাতে বন্দী হল চিনের অবসরপ্রাপ্ত এক নৌসেনা কর্তা। এই ঘটনার জেরে তাঁকে সামরিক তদন্তের মুখেও পড়তে হবে বলেও তাইওয়ান প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত রবিবার তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে প্রায় ১৬০ কিমি আভ্যন্তরে তাইপেই বন্দরের নিকট চলে আসে চিনা সেনার একটি স্পিড বোট।

সেটিকে দেখেই নড়েচড়ে বসেন তাইওয়ানের নৌ সেনা। ওই স্পিড বোটটিকে তাড়া করেই ধরে ফেলে তাঁরা। চিন ও তাইওয়ানের মধ্যবর্তী তামোশি নদীর এই এলাকা দিয়ে মাঝে মধ্যেই চিনা অনুপ্রবেশ ঘটে বলে অভিয়োগ তাইওয়ানের। আর এই অনুপ্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠছে চিন-তাইওয়ানের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।

   

তাইপেই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রুয়ান নামের ওই ব্যক্তিকে জেরা করছে নৌসেনা আধিকারিকরা। ঠিক কী কারণে তাইওয়ানের জলসীমা অতিক্রম করেছে তা জানতেও তদন্ত কমিশন গঠনের তোড়জোড় শুরু হবে বলেও তাইওয়ানের তরফে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তাইওয়ানের নৌ-সেনা কুয়ান- বি লিঙ বলেন, “গ্রেফতার ওই চিনা সেনা কর্তা যথেষ্ট মার্জিত ও জেরার সহযোগিতা করছেন।”

বিগত কয়েক বছর ধরেই তাইওয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানীতে ঠেকেছে চিনের। ১৯৪৯ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই তাইওয়ানকে নিজেদের অবিচ্ছেদ্য অংশ বলেই মনে করে বেজিং। যদিও তা কোনওভাবেই মানতে নারাজ তাইওয়ান। সেই কারণে তাইওয়ানের সঙ্গে বার বার সামরিক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ছে বেজিং। বিগত কয়ক মাসে চিন প্রায় ১৮ বার জলসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে দাবি করে তাইওয়ানের বিদেশ দফতর।

তাইওয়ানের পাশে দাঁড়াতে ওই এলাকায় সামরিক সক্রিয়তা বাড়িয়েছে আমেরিকাও। যেটা একেবারেই না পসন্দ বেজিং-য়ের। আর সেই জন্যই বার বার ড্রাগণের আগ্রাসনের মুখে পড়তে হচ্ছে ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্রটিকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, তাইওয়ানের ভূখন্ডের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিজেদের প্রভাব আরও বাড়াতে পারবে বেজিং।