সিডনি: ফের বিদেশের মাটিতে হিন্দু ধর্মস্থানে আঘাত। অস্ট্রেলিয়ার বোরোনিয়া অঞ্চলের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে বিদ্বেষমূলক বার্তা লেখা হল দেওয়ালে (Swaminarayan Temple Hate Graffiti)। ‘দ্য অস্ট্রেলিয়া টুডে’-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ২১ জুলাই গভীর রাতে এই কাণ্ড ঘটে মেলবোর্নের ওয়াধার্স্ট ড্রাইভে অবস্থিত মন্দির চত্বরে। দেওয়ালে লাল রঙে আঁকা হয়েছে ঘৃণাব্যঞ্জক দেওয়াল চিত্র। শুধু মন্দির নয়, আশপাশের দুটি এশিয়ান রেস্তরাঁয়ও একই ধরনের বার্তা দেখা গিয়েছে।
ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন হিন্দু কাউন্সিল অফ অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া শাখার প্রধান মাকরন্দ ভাগবত। তাঁর কথায়, “আমাদের মন্দির শান্তি, ভক্তি ও ঐক্যের প্রতীক। এই অপমান শুধু এক ধর্মস্থান নয়, আমাদের পরিচয় ও বিশ্বাসের উপর আঘাত।” তিনি আরও জানান, এই মন্দিরে প্রতিদিন প্রার্থনার পাশাপাশি কমিউনিটি মিলন, ভোগ প্রসাদ এবং সাংস্কৃতিক উৎসবের আয়োজন করা হয়। ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একাধিক প্রজন্ম এই মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত।
ভিক্টোরিয়া পুলিশ জানিয়েছে, মন্দির-সহ বোরোনিয়া ও বেসওয়াটার এলাকার চারটি স্থানে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, “২১ জুলাই যে গ্রাফিতির খবর এসেছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, এই ধরনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই কানাডার সারে শহরের লক্ষ্মী নারায়ণ মন্দিরে প্রো-খালিস্তান গ্রাফিতি লিখে দেওয়াল নষ্ট করা হয়। স্থানীয় সাংবাদিকের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, রাত তিনটে নাগাদ দু’জন ব্যক্তি দেওয়ালে স্লোগান লেখার পাশাপাশি একটি সিসিটিভি ক্যামেরাও খুলে নিয়ে যায়।
এর আগে কানাডার ভ্যাঙ্কুভারের খালসা দিবান গুরুদ্বারায়ও এই ধরনের খালিস্তানি বার্তা দেওয়ালচিত্রের মাধ্যমে ছড়ানো হয়, যা নিয়ে কানাডার শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যেই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদেশে হিন্দু ধর্মস্থানগুলিকে লক্ষ্য করে ঘৃণা-প্ররোচিত হামলা বা ভাঙচুরের ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে, যা উদ্বেগজনক।