পেরুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প (Strong Earthquake) অনুভূত হয়েছে। পেরু দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে অবস্থিত একটি দেশ। জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপা হয়েছে ৫.৯। বর্তমানে ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আরেকুইপা ডিপার্টমেন্টের উপকূল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার গভীরে প্রশান্ত মহাসাগরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল।
সরকার সুনামি সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.০ রেখেছে এবং বলেছে যে ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল ১৯.৯ কিলোমিটার গভীরে। স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণ বা সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
#Earthquake (#sismo) confirmed by seismic data.⚠Preliminary info: M5.9 || 61 km SE of #Acarí (#Peru) || 6 min ago (local time 09:47:35). Follow the thread for the updates👇 pic.twitter.com/BgRkOoJVTm
— EMSC (@LastQuake) June 16, 2024
এভাবেই ভূমিকম্প হয়
পৃথিবীর পৃষ্ঠ টেকটোনিক প্লেট দ্বারা গঠিত। যখন এই প্লেটগুলো একে অপরের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়, তখন পৃথিবীর নিচ থেকে শক্তি বের হওয়ার পথ খুঁজে পায় এবং এর ফলে পৃথিবী কেঁপে ওঠে এবং ভূমিকম্প অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের তীব্রতা ৬-এর বেশি হলে ভূমিকম্পে অনেক ক্ষতি হতে পারে। বড় ভূমিকম্প দ্বারা নির্গত তরঙ্গ পৃথিবীর অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধারণ করে। ভূমিকম্পের তরঙ্গ যেমন পৃথিবীর মধ্য দিয়ে যায়।
১৯৬০ সাল থেকে ভূমিকম্প বেড়েছে
যদি দেখা যায় ১৯৬০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত অনেক বড় ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৭ থেকে ৮.০ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্প। বড় ভূমিকম্পের দীর্ঘমেয়াদী গড় সংখ্যা গত ৪০-৫০ বছরে প্রায় এক ডজন বার অতিক্রম করেছে। ২০১০ সালে, ৭.০ মাত্রার চেয়ে বেশি বা সমান ২৩ টি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল। ১৯৮৯ সালে মাত্র ৬টি বড় ভূমিকম্প হয়েছিল এবং ১৯৮৮ সালে মাত্র ৭টি ভূমিকম্প হয়েছিল।


