আমেরিকার নতুন প্রশাসনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ক্ষেত্রের পরামর্শদাতা হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত শ্রীরাম কৃষ্ণনকে (Sriram Krishnan) দেখা যেতে পারে। হোয়াইট হাউসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংক্রান্ত নীতি নির্ধারণে তিনি সম্ভাব্য সিনিয়র অ্যাডভাইজ়র হিসেবে পরামর্শ দেবেন, এমনটাই খবর এসেছে। এই পদটি, আগামী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) অধীনে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে, এবং শ্রীরাম কৃষ্ণনকে তার প্রথম পছন্দ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁর এই পদে আসা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একটি বড় দৃষ্টি নিবদ্ধ করবে।
পরমাণু প্রকল্পে ‘কাটমানি’ নিয়ে অভিযুক্ত হাসিনার বোনঝি ব্রিটিশ মন্ত্রী টিউলিপের জেরা
শ্রীরাম কৃষ্ণনের জন্ম চেন্নাইয়ে, এবং তার জীবনযাত্রার শুরু সেখানেই। তবে, পরবর্তীতে তিনি একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করেছেন, এবং বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে তার বিশাল অভিজ্ঞতা তাকে বিশেষভাবে সফল করেছে। মাইক্রোসফট, এক্স (যেটি সাবেক টুইটার), ইয়াহু, ফেসবুক—এই ধরনের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলিতে শ্রীরাম কৃষ্ণন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি এসব সংস্থায় তার কৌশলগত দক্ষতা এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অনবদ্য দক্ষতার জন্য পরিচিত।
শ্রীরামের এই অভিজ্ঞতা তাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, প্রযুক্তি এবং ডেটা সায়েন্সের জগতে একটি বিশেষ জায়গায় নিয়ে গেছে। তার দক্ষতা এমন এক জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে বিশ্বস্ত প্রযুক্তির উন্নয়ন, প্রযুক্তির নিরাপত্তা, এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যত নিয়ে গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দিতে সক্ষম। তার কাজের মধ্যে প্রযুক্তির একাধিক দিক নিয়ে চিন্তাভাবনা, উন্নয়ন এবং সমস্যা সমাধানের কৌশল অবলম্বন করা রয়েছে, যা তাকে এই নতুন দায়িত্বে আরও যোগ্য করে তুলবে।
অত্যন্ত প্রাসঙ্গিকভাবে, শ্রীরামের এই পরামর্শদাতা পদে যোগদান শুধু তার পেশাগত অর্জনেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এই পদে শ্রীরাম কৃষ্ণনের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি হোয়াইট হাউসের নীতির দিকে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন এবং প্রযুক্তির নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্বব্যাপী অনেক চিন্তা ও চ্যালেঞ্জ রয়েছে, এবং আমেরিকা এই চ্যালেঞ্জগুলির মোকাবিলা করতে বিশ্ব নেতৃত্বের ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছে। এর জন্য শ্রীরাম কৃষ্ণনের মতো একজন দক্ষ পরামর্শদাতা প্রয়োজন।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তা সানি লিওন, প্রতি মাসে ঘরে যাচ্ছে হাজার টাকা
শ্রীরামের এই নতুন পদে যোগ দেওয়ার সংবাদ, বিশেষ করে প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উন্নয়নে তাঁর অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা, আমেরিকান প্রশাসনের জন্য একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। এটা কেবল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ নীতি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং দেশের উন্নত প্রযুক্তি নীতির ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রেও সহায়ক হতে পারে। বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, যা এখন বিশ্বব্যাপী নানা ক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টি করছে, এর যথাযথ ব্যবহার এবং নিরাপত্তা নিয়ে আমেরিকার প্রশাসন আগামী দিনে যেসব পদক্ষেপ নেবে, তাতে শ্রীরামের পরামর্শ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামী গেরিলা যোদ্ধাকে জুতোর মালা পরিয়ে হেনস্থা
এছাড়া, ভারতের প্রতি শ্রীরাম কৃষ্ণনের এই পদোন্নতির ফলে ভারতীয় প্রযুক্তি পেশাদারদের জন্যও একটি অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পারে। প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রের উন্নয়নে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তিরা একের পর এক বিশ্বমানের জায়গায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছেন, যা ভারতীয় প্রযুক্তি ক্ষেত্রের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক।