Sri Lanka Crisis: যে জিতবে সেই জনতার তাড়া খাবে! লঙ্কার রাজা কে?

জনতার মারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপ হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে৷ তীব্র আর্থিক সংকটের (Sri Lanka Crisis) মধ্যে থাকা…

জনতার মারের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে মালদ্বীপ হয়ে সিঙ্গাপুর থেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পদত্যাগ ঘোষণা করেছেন গোতাবায়া রাজাপাকসে৷ তীব্র আর্থিক সংকটের (Sri Lanka Crisis) মধ্যে থাকা শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট পদে এবার কে? বুধবার ভোটের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করতে চলেছে শ্রীলঙ্কা। তবে যেই হবেন লঙ্কার রাজা তিনিই বিক্ষুব্ধ সিংহলি জনতার তাড়া খেতে প্রস্তুত থাকবেন।

আর্থিক দুর্দশার ক্ষোভে প্রেসিডেন্ট ভবন দখল করেছেন সিংহলি। চলছে ক্ষোভ। এর মাঝে প্রেসিডেন্ট ভোটের উত্তেজনা চরমে।

এর আগে মারের ভয়ে বিরাট ক্ষমতাধর পূর্বতন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে পালিয়ে যান। তিনি শ্রীলংকার গোপন স্থানে আছেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে পালিয়েছেন গোতাবায়া। পালাতে হয় দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকেও। তিনিও সুরক্ষিত স্থানে কার্যকরী প্রেসিডেন্টের ভূমিকা পালন করছেন।

আর্থিক দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে কার কাছে যাবে সবচেয়ে বেশী সমর্থন? ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপদেশে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন।

প্রেসিডেন্ট পদের ভোটে রয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। মার্কসাবাদী জেভিপি নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়েকে এবং এসএলপিপির দুল্লাস আলহাপেরুমা।

এই তালিকায় এগিয়ে রাখা হয়েছে রনিল বিক্রমাসিংহে কে৷ কারণ, এর আগে ছয় বার প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে ক্ষমতাসীন দল সহ একাধিক দলের সমর্থন পাবেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, বিক্রমাসিংহে জয়লাভ করলে বিক্ষুব্ধ জনতা ফের রাস্তায় নামবে না তো? কারণ, বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য ছিল রাজাপাকসে কে শ্রীলঙ্কা ছাড়ার সময় সাহায্য করেছেন বিক্রমাসিংহে।

নির্বাচন হবে ব্যালটে৷ সিংহলি ভোটাররা নিজেদের নিজেদের পছন্দের ক্রম অনুসারে ভোট দিতে পারবেন। নির্বাচনে জয়লাভের জন্য প্রয়োজন ১১৩ টি আসনের। অর্থাৎ ৫০ শতাংশের চেয়ে বেশী ভোট৷ যিনি নির্বাচিত হবে তিনি থাকবেন ২০২৪ এর নভেম্বর অবধি