কিমের মদতে কমিউনিস্টরা দেশ দখল করতে চায়? অস্থির দক্ষিণ কোরীয়া

উত্তর কোরিয়ার (North Korea)  সঙ্গে চলমান সংঘাতের উত্তপ্ত আবহে দেশে মার্শাল’ ল জারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল (Yoon Suk Yeol)।…

South Korean President Yoon Suk Yeol said Communist can capture power amid violence in the country

short-samachar

উত্তর কোরিয়ার (North Korea)  সঙ্গে চলমান সংঘাতের উত্তপ্ত আবহে দেশে মার্শাল’ ল জারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল (Yoon Suk Yeol)। মঙ্গলবার এই ঘোষণা আসার পর থেকেই পূর্ব এশিয়ার (East Asia) এই দেশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষিপ্ত অশান্তি। রাজনৈতিক মহলে এই পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। এবার তিনি স্পষ্ট দেশের বিরোধীদের লক্ষ্য করে বলেন, দেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচিত সরকারকে হঠিয়ে ক্ষমতার দখল নিতে চাইছে কমিউনিষ্টরা (Communist Party) 

   

বাংলাদেশে হিন্দু-নিধন, অশান্তির আবহে জিয়ার বাসভবনে পাক রাষ্ট্রদূত, কড়া নজর ভারতের

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের (Yoon Suk Yeol) যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার (North Korea)  শাসক কিম জং উনের (Kim Jong Yun) মদতে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দল ও কমিউনিষ্টেরা ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে। প্রেসিডেন্টের মতে, এই ষড়যন্ত্র দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক কাঠামোর ওপর সরাসরি আঘাত। তিনি বলেন, “উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর আগ্রাসন থেকে উদারপন্থী দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করতে এবং রাষ্ট্রবিরোধী শক্তিগুলোকে নির্মূল করতে আমি এই কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য জরুরি।”

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সামরিক আইন জারির মূল লক্ষ্য দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং যেকোনও প্রকার বিদ্রোহ বা ষড়যন্ত্র রোধ করা। সামরিক বাহিনীর হাতে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ আরও শক্তিশালী করা হয়েছে।

এদিন সিওলে এক বিশাল মিছিল থেকে শোনা যায়, “আমরা স্বৈরতন্ত্র মানি না। এই সিদ্ধান্ত দক্ষিণ কোরিয়ার গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরীপন্থী।” বুসান, ইনচিওন এবং দেগুতে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দলগুলি সরকারের এই পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করেছে। ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা লি জে-মিউং এই সিদ্ধান্তকে “গণতন্ত্রের পক্ষে এক কালো দিন” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট ইউন একটি মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে দেশের ক্ষমতা দখল করতে চাইছেন। এটি একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত।”

ব্যাপক বিক্ষোভ, রাজনৈতিক অস্থিরতা, সামরিক আইন জারি করেও পিছু হঠল দক্ষিণ কোরিয়া

অপরদিকে, বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরাও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, সামরিক আইন জারির ফলে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে এবং বিরোধী কণ্ঠগুলোকে দমন করার সুযোগ তৈরি হবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক আইন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়ার দীর্ঘদিনের মিত্র, এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা আশা করি দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার শান্তিপূর্ণ উপায়ে সংকট মোকাবিলা করবে এবং গণতান্ত্রিক নীতিমালার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে।”

বিশ্বজুড়ে নির্বাচনে জেনারেটিভ এআই-এর ভূমিকা ছিল সীমিত, দাবি মেটার

জাপান ও অস্ট্রেলিয়া থেকেও এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় সামরিক আইন জারির ফলে পূর্ব এশিয়ার কূটনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠবে।

South Korea: Amid escalating tensions with North Korea, South Korean President Yoon Suk Yeol faced a major setback as his attempt to impose martial law was thwarted. The announcement on Tuesday triggered widespread unrest across the nation, with protests erupting in several regions of East Asia’s democratic stronghold.

Political circles are abuzz with intense debate over Yoon’s controversial move, which he justified by accusing communist forces of plotting to overthrow the democratically elected government. Yoon directly targeted opposition groups, stating, “Communists are seeking to dismantle the democratic government and seize power.” The situation has heightened political instability in South Korea, further complicating its already strained relations with North Korea. https://ekolkata24.com/