জখম যাত্রীদের জন্য ক্ষতিপূরণে রাজি সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স

মাঝ আকাশে মৃত্যুর হাতছানি!…. মাঝ আকাশে বিমানের উলট-পালট পরিস্থিতির জেরে জখম হন একাধিক যাত্রী, এবার তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ। সম্প্রতি…

মাঝ আকাশে মৃত্যুর হাতছানি!…. মাঝ আকাশে বিমানের উলট-পালট পরিস্থিতির জেরে জখম হন একাধিক যাত্রী, এবার তাঁদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কতৃপক্ষ। সম্প্রতি লন্ডন থেকে সিঙ্গাপুর যাচ্ছিল সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। মিয়ানমারের-থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী এলাকায় আসতেই মাঝ আকাশে আচমকা কাঁপতে শুরু করে বিমানটি। এই ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিমানের ভেতরে থাকা যাত্রীরা। সিঙ্গাপুর এয়ার লাইন্সের ‘বোয়িং ৭৭৭-৩০০’ বিমানটি জোরে জোরে কাঁপতে শুরু করে। ঘটনার জেরে জখম হয়েছেন একাধিক যাত্রী, ৭৩ বছর বয়সি জনৈক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যু হয়। পরিস্থিতি সামলাতে বিমানটি জরুরি অবতরণ করে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যঙ্ককে।

তারপর এই নিয়েই শুরু হয়ই চাপান উতোর। শেষপর্যন্ত সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স জখম যাত্রীদের জন্য ১০ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দিতে সম্মত হয়। এছাড়াও গুরুতর আহতদের জন্য ২৫ হাজার মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অসামরিক বিমান পরিষেবা আইন মেনেই ওই বিমানে থাকা সমস্ত যাত্রীকে এক হাজার মার্কিন ডলার দিতে বাধ্য হয় বিশ্বের অন্যতম এই বিমান সংস্থা।

   

বিবিসি সুত্রে জানা গিয়েছে, বিমানটি ব্যঙ্ককে অবতরনের পর জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানেই দীর্ঘদিন চিকিত্সা চলে প্রায় ১০০ জনের ওপর বিমান যাত্রীর। ঘটনাটি সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। একটি তদন্ত কমিশনও বসানো হয় এই ঘটনার তদন্তের জন্য। সেই তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই হকচকিত হয়ে যান অনেকেই। জানা গিয়েছে,থাইল্যান্ড সীমান্তে মাঝ আকাশে জোরে জোরে ওঠা-নামা করতে শুরু করে বিমানটি। মাত্র ৪.৬ সেকেন্ডের মধ্যে ১৭৮ ফিট নিচে নেমে আসে বিমানটি। সঙ্গে তীব্র কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। অন্যদিকে, সিট বেল্ট না পড়ে থাকার জন্য এই বিপর্যয় হয় বলেও দাবি যাত্রীদের দাবি।

বিমান সংস্থার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিমানে ২১১ জন যাত্রী ছিল। যার মধ্যে ব্রিটিশ ছাড়াও বাকিরা অস্ট্রেলিয়া ও সিঙ্গাপুরের নাগরিক। সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স ছাড়াও ব্রিটেন সরকারও আক্রান্তদের জন্য বিশেষ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে। এই ঘটনার পর বিমানে সর্বক্ষণ সিটবেল্ট বেঁধে থাকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে বলেই বিমান সংস্থাগুলির তরফে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।