বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ‘প্রধানমন্ত্রী’ শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে. ট্রাম্পকে তার ঐতিহাসিক বিজয়ের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “মার্কিন জনগণ তার নেতৃত্বের প্রতি অসাধারণ আস্থা রেখেছে এবং এই বিজয় তার চৌকস নেতৃত্বের শক্তিশালী প্রতিফলন।”
প্রধানমন্ত্রী (আওয়ামী লীগের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বলেই অ্যাখা দেওয়া হয়েছে) শেখ হাসিনা তার বার্তায় স্মরণ করেছেন পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তার প্রথম দফা রাষ্ট্রপতির শাসনকালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে সাক্ষাতের স্মৃতি। তিনি জানান, সেসময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মেলানিয়া ট্রাম্পের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের বন্ধন গড়ে উঠেছিল এবং সেই সম্পর্ক আগামী দিনগুলোতেও আরও দৃঢ় হবে বলে তিনি আশা করেন।
শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ট্রাম্পের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্সি অধীনে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে এবং দুই দেশের জনগণের মধ্যে মৈত্রী সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটবে। তার মতে, “বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য আমার সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং আমরা মিলিতভাবে এমন পদক্ষেপ নেব যা দুই দেশের জন্যই লাভজনক।”
শেখ হাসিনা তার শুভেচ্ছা বার্তায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার পরিবারকে দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও সুখময় জীবন কামনা করেছেন। একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার পথে ইতিবাচক বার্তা প্রদান করে। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করতে প্রস্তুত তার সরকার। শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে দুই দেশ ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে জনগণের কল্যাণ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তার সরকার সচেষ্ট থাকবে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন নেতৃত্বে বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে বলেও শেখ হাসিনা মন্তব্য করেন।
এ ধরনের কূটনৈতিক শুভেচ্ছা বার্তা থেকে বোঝা যায়, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক কেবল দুই দেশের সরকারপ্রধানদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং জনগণের মধ্যেও তা ছড়িয়ে পড়েছে।