‘ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে সম্মান করি’, পুতিনকে আর কী বললেন শরিফ?

বেজিং: চিনের টিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শারিফ রাশিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন,…

shehbaz sharif on india russia relations

বেজিং: চিনের টিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত শাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শারিফ রাশিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদের সম্পর্ক জোরদারের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বৈঠকে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, “আমরা রাশিয়ার ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে সম্মান করি। তবে আমাদের সম্পর্কও শক্তিশালী হতে হবে, যা অঞ্চলের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”

নজর কেড়েছে শরিফের মন্তব্য

এই মন্তব্য স্বাভাবিকভাবেই কূটনৈতিক অঙ্গনে বিশেষ নজর আকর্ষণ করেছে। কারণ এটি প্রকাশ করে যে পাকিস্তান রাশিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণভাবে বিকাশ করতে চায়, যেখানে ভারতের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ককে অস্বীকার করা হচ্ছে না, বরং তা পরিপূরক ও সমন্বয়মূলক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

   

শারিফের বক্তব্যে স্পষ্ট যে পাকিস্তান রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য, শক্তি, কৃষি, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসহ বিস্তৃত খাতে সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী। এটি শুধুমাত্র দ্বিপক্ষীয় কূটনীতি নয়, বরং আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাব বৃদ্ধি এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নতুন ভারসাম্য আনার দিকেও ইঙ্গিত দেয়।

ইতিবাচক অগ্রগতি shehbaz sharif on india russia relations

পুতিনও বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্কের ইতিবাচক অগ্রগতির কথা উল্লেখ করেছেন। বিশেষভাবে SCO-র মতো বহুপাক্ষিক ফোরামের মাধ্যমে সহযোগিতা অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি বলেছেন। এই প্রসঙ্গে দেখা যায় যে, পাকিস্তান রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক ভারসাম্যে একটি নতুন ঘূর্ণন আনতে চাইছে।

তথ্য অনুযায়ী, শারিফ পুতিনের আমন্ত্রণে নভেম্বর মাসে রাশিয়ায় সফর করবেন এবং SCO-র শীর্ষ নেতাদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এটি দুই দেশের সম্পর্কের দীর্ঘমেয়াদী সম্প্রসারণের ইঙ্গিত বহন করে, যা শীতল যুদ্ধ পরবর্তী যুগে পাকিস্তান-রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় কূটনীতির একটি নতুন অধ্যায়।

Advertisements

প্রভাব

অতীতের শীতল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান-রাশিয়া সম্পর্কের এই পরিবর্তন কেবল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দিকেই নয়, বরং দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ভারসাম্য, ভারত ও চিনের ভূ-রাজনৈতিক সম্পর্ক এবং SCO-এর আঞ্চলিক ভূমিকা, সবকিছুর ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

এদিকে শারিফ চিনে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রহমন-এর সঙ্গে বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন যে, পারস্পরিক স্বার্থের সব ক্ষেত্রেই সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে, যা পাকিস্তানের বহুপাক্ষিক কূটনীতি এবং আঞ্চলিক নীতি নিয়ে আরও সমৃদ্ধ চিত্র ফুটিয়ে তোলে।

সারসংক্ষেপে বলা যায়, শেহবাজ শারিফের রাশিয়া সফর কেবল দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নয়, বরং আঞ্চলিক কূটনীতি ও আন্তর্জাতিক সমীকরণে পাকিস্তানের কৌশলগত অবস্থানকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখা যায়।

 World: During the SCO summit in Tianjin, Pakistan’s PM Shehbaz Sharif expressed a strong desire to bolster ties with Russia, while respecting Moscow’s relationship with India. This move signals a new chapter in Pakistan-Russia diplomacy aimed at regional stability and mutual cooperation.