সে*ক্স ট্র্যাফিকিং মামলায় ৪ বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত র‍্যাপার শন ‘ডিডি’ কম্বস

মার্কিন সংগীত জগতের সুপারস্টার ও ব্যবসায়ী শন “ডিডি” কম্বসকে (বয়স ৫৫) সেক্স ট্র্যাফিকিং ও যৌনকর্মীদের ব্যবহার সংক্রান্ত মামলায় ৪ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।…

sean-diddy-combs-sentenced-sex-trafficking-case

মার্কিন সংগীত জগতের সুপারস্টার ও ব্যবসায়ী শন “ডিডি” কম্বসকে (বয়স ৫৫) সেক্স ট্র্যাফিকিং ও যৌনকর্মীদের ব্যবহার সংক্রান্ত মামলায় ৪ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। শুক্রবার নিউইয়র্কের এক ফেডারেল আদালতে এই রায় ঘোষণা করা হয়।

Advertisements

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন, “এই মামলাটি শুধু একজন মানুষের বিচার নয়, বরং সমাজের কাছে একটি বার্তা। এত গুরুতর অপরাধ করলে শাস্তি এড়ানো যায় না। কম্বস (Sean Diddy Combs) মুক্তি পেলে একই অপরাধ পুনরায় ঘটতে পারে—এই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।”

   

মামলার পটভূমি

২০২৪ সালে প্রথমবার কম্বসের (Sean Diddy Combs) বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে, তিনি যৌনকর্মীদের ভাড়া করে মাদকাসক্ত অবস্থায় একাধিক “ম্যারাথন সেক্স পার্টি” বা কথিত ফ্রিক-অফ আয়োজন করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, এসব অনুষ্ঠানের জন্য তিনি বিভিন্ন রাজ্যে নারী ও পুরুষকে উড়িয়ে নিয়ে যেতেন এবং সেখানে চলত সহিংসতা, মাদক এবং শারীরিক নির্যাতন।

গত জুলাইয়ে জুরি তাকে কিছু অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। তবে বড় ধরনের র্যাকেটিয়ারিং ষড়যন্ত্র ও পূর্ণাঙ্গ সেক্স ট্র্যাফিকিংয়ের অভিযোগ থেকে খালাস দেয়। যদি এসব অভিযোগ প্রমাণিত হতো, তাহলে তার আজীবন কারাদণ্ড হতে পারত।

বিনোদন জগতে আলোড়ন

একসময়ের গ্র্যামি বিজয়ী এবং মিলিয়ন ডলারের ব্যবসার মালিক কম্বসের এই পতন ভক্তদের জন্য বড় ধাক্কা। তার গান, প্রযোজনা ও ব্যবসায়িক সাফল্য তাকে মার্কিন সঙ্গীত জগতে আইকনিক মর্যাদা এনে দিয়েছিল। কিন্তু এই মামলার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ক্ষমতা ও টাকার দাপটে তিনি কি বহু বছর ধরে অপরাধ আড়াল করতে পেরেছিলেন?

সামাজিক মাধ্যমে রায় ঘোষণার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ বলেছেন, “এটা সঙ্গীত জগতের জন্য কলঙ্কজনক মুহূর্ত।” আবার অন্যরা মনে করছেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং এ ধরনের অপরাধে বড় শিল্পীরাও ছাড় পাবেন না—এটি প্রমাণ হয়েছে।

ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা

কম্বসের আইনি টিম জানিয়েছে, তারা আপিল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আরও বেসরকারি দেওয়ানি মামলা চলমান, যেখানে একাধিক নারী ক্ষতিপূরণের দাবি করেছেন।

সুতরাং, একসময়ের বিশ্ববিখ্যাত র‍্যাপারের জীবন এখন কারাগারের অন্ধকারে সীমাবদ্ধ। আর এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল—অপরাধ যত বড় তারকা-ই করুন না কেন, আইনের চোখে সবাই সমান।