প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা পাকিস্তানকে হাতেনাতে ধরল মস্কো

russia-catches-pakistan-stealing-defense-tech-breaking-news

রাশিয়া (Russia) এবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে—রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরি করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ও কূটনৈতিক সূত্রের দাবি, রাশিয়া পাকিস্তানের একদল প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে “রেড-হ্যান্ডেড” অর্থাৎ সরাসরি হাতেনাতে ধরে ফেলেছে এমন গোপন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি সংগ্রহের প্রচেষ্টায়।

Advertisements

রাশিয়া–পাকিস্তান সম্পর্ক অনেকদিন ধরেই ওঠা–নামার মধ্যে ছিল। তবে এমন সরাসরি অভিযোগ তুললে তা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও বড় ধাক্কা দিতে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা।

   

রাশিয়ার অভিযোগ অনুযায়ী, পাকিস্তানের কিছু প্রতিনিধি গোপন সামরিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা নকশা সংগ্রহের চেষ্টা করছিল। এই প্রযুক্তি রাশিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও বাড়তি সুবিধা দেয়—এ কারণে রাশিয়া এই ধরনের তথ্য কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করে। কী ধরনের প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা হয়েছে, সে বিষয়ে রাশিয়া বিস্তারিত জানায়নি।

এদিকে পাকিস্তান এখনও এই অভিযোগ সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। ইসলামাবাদের তরফে সাধারণত এমন অভিযোগ অস্বীকার করার প্রবণতা দেখা যায়, এবং অনেক সময় “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত” বলে দাবি করা হয়। তবে বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া যদি প্রকাশ্যে না বলেও অভ্যন্তরীণভাবে এমন অভিযোগ তোলে, তাহলে তা দুই দেশের সামরিক সম্পর্কের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।

বিশ্ব রাজনীতিতে এখন রাশিয়া চায় নিজের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও সাম্ভ্রান্ত সামরিক অবস্থানকে আগের চেয়ে আরও শক্তিশালী করতে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর রাশিয়া যেভাবে নিজেদের প্রতিরক্ষা উন্নয়নে ব্যস্ত, সেই সময় পাকিস্তানের এমন পদক্ষেপকে অত্যন্ত “স্পর্শকাতর” বলে মনে করছে রুশ প্রশাসন।

Advertisements

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই উন্নত সামরিক প্রযুক্তি সংগ্রহে আন্তর্জাতিকভাবে “একাধিক সূত্র” ব্যবহার করে। একইসঙ্গে পাকিস্তান চীন–তুরস্ক–মধ্যপ্রাচ্যের অস্ত্র প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখে। ফলে রাশিয়ার অভিযোগ একেবারে আশ্চর্যের নয়।

এই ঘটনা আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে। রাশিয়া যদি বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বমঞ্চে নিয়ে যায়, তাহলে পাকিস্তানও কূটনৈতিক চাপের মুখে পড়বে। অন্যদিকে ভারত—যা রাশিয়ার দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সহযোগী—এই ঘটনার দিকে বিশেষ নজর রাখবে বলেই আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মত। ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে পাকিস্তান ও রাশিয়ার সম্পর্ক যদি আরও খারাপ হয়, তা ভারতের জন্য কৌশলগতভাবে সুবিধাজনক হতে পারে।

তবে ঘটনাটি এখনও প্রাথমিক তদন্ত পর্যায়ে। রাশিয়া পুরো তথ্য প্রকাশ না করা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না—চুরি যাওয়া প্রযুক্তি কী ধরণের, কে বা কারা জড়িত, এবং এর উদ্দেশ্য ঠিক কী।

দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে কি না, সে প্রশ্নের উত্তর এখনো সময়ই দেবে।