“যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত”! পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি তালিবানের

কাবুল: সুরাহা হল না ইস্তাম্বুল বৈঠকে। কাবুলের ঘাড়ে বারংবার দোষ চাপানোর ফল এবার পেতে চলেছে পাকিস্তান (Pakistan)। ইসলামাবাদকে এবার সরাসরি যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল আফগানিস্তান। শনিবার সীমান্ত সংঘাত নিয়ে তুরস্ক এবং কাতারের মধ্যস্থতাকে ধন্যবাদ জানান তালিবান (Taliban) মুখপাত্র জাবিনুল্লাহ মুজাহিদ (Zabihullah Mujahid)।

Advertisements

সেইসঙ্গে তিনি বলেন, “তেহেরিক-ই-তালিবানে সঙ্গে পাকিস্তানের সমস্যা আজকের নয়। ২০০২ থেকেই এই সমস্যা চলে আসছে”। পাশাপাশি, আফগানিস্তানের আদিবাসী, সীমান্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নুরুল্লাহ নুরি (Noorullah Noori) পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “আফগানদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না।”

   

প্রযুক্তি নিয়ে বেশি আস্ফালন করার প্রয়োজন নেই বলে খোয়াজা আসিফকে (Khwaja Asif) সরাসরি হুমকি দিয়ে তালিবান মন্ত্রী বলেন, “যুদ্ধ বাধলে আফগানিস্তানের শিশু থেকে বৃদ্ধ যুদ্ধে নামবে”। তিনি আরও বলেন যে, ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান টিটিপি এবং পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার সুযোগ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং এই প্রক্রিয়াটি মূলত সফল হয়েছিল, কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনী তা ব্যর্থ করে দেয়।

মধ্যস্থতায় সাড়া দেনি পাকিস্তান

Advertisements

প্রসঙ্গত, আফগান-পাক সীমান্ত বিবাদ এবং পাকিস্তানের অভ্যন্তরে তেহেরিক-ই-তালিবানের (TTP) সঙ্গে শাহবাজ সরকারের দীর্ঘ সমস্যার সমাধানে তুরস্ক এবং কাতার মধ্যস্থতার ব্যবস্থা করে। তাদের তরফে বলা হয়, ৬ এবং ৭ নভেম্বর আফগানিস্তানের তরফে আলোচনার টেবিলে সদর্থক সাড়া পাওয়া যায় এবং পাকিস্তানের সমস্যা সমাধানে আশার আলো দেখা দেয়।

কিন্তু, পাকিস্তান (Pakistan) আবারও তার “দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অসহযোগী মনোভাব” প্রদর্শন করেছে, “তার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত দায়িত্ব আফগান সরকারের কাছে হস্তান্তর করার” চেষ্টা করছে, একই সাথে “আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বা নিজস্ব নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণে কোনও আগ্রহ দেখায়নি”। নেতৃত্বের নির্দেশে কাজ করে আফগান প্রতিনিধিদল “একটি মৌলিক সমাধান” খুঁজে পাওয়ার আশা নিয়ে আলোচনায় প্রবেশ করেছিল, কিন্তু পাকিস্তানের আচরণ আলোচনাকে নিষ্ফল করে দিয়েছে।