রওয়ালপিন্ডি: পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডিতে ছড়িয়ে পড়েছে দাঙ্গার আগুন। আদিয়ালা জেলের বাইরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের উপর পুলিশের গুলি চালানো হয়েছে। হাজারো পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) কর্মী ও সমর্থকরা জেলের চারপাশে ভিড় করে উঠেছে, স্লোগান দিয়ে ইমরানের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে। ভারী নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, এবং কাল ২৭ নভেম্বর পাকিস্তানের সংসদে জরুরি অধিবেশন ডাকা হয়েছে।
এই ঘটনা ইমরানের বোনদের উপর পুলিশের নির্যাতনের পরবর্তী পর্যায় বলে মনে হচ্ছে, যা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ইমরান খান কোথায়?’ বলে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।ঘটনার সূত্রপাত গত সপ্তাহ থেকে। ইমরান খানের তিন বোন—নুরিন নিয়াজি, আলিমা খান এবং ডক্টর উজমা খান—এক মাস ধরে আদিয়ালা জেলের বাইরে ধর্মঘট করছিলেন। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান জেলে আটক, বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায়।
অমানবিক কাজের চাপেই মৃত্যু, নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ মহুয়ার
বোনেরা সপ্তাহে একবার দেখা করার অনুমতি চেয়েছিলেন, কিন্তু কর্তৃপক্ষ ‘নিরাপত্তার কারণ’ দেখিয়ে বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। গত মঙ্গলবার রাতে তারা শান্তিপূর্ণভাবে বসে থাকার সময় পুলিশ হঠাৎ হামলা করে। ‘চুল ধরে টেনে রাস্তায় টেনে নেওয়া হয়েছে, লাথি-ঘুষিতে মারধর করা হয়েছে’ বোনেরা পাঞ্জাব পুলিশের আইজিপি উসমান আনওয়ারকে চিঠি লিখে এমন অভিযোগ করেছেন। পিটিআই বলছে, এটা ‘আরমি এস্টাবলিশমেন্টের নির্দেশে’ করা হয়েছে।
আজ সকাল থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। ইমরানের বোনদের উপর নির্যাতনের খবর ছড়াতেই হাজারো সমর্থক জেলের দিকে এগিয়ে আসে। পিটিআই-এর লাইভস্ট্রিমে দেখা গেছে, কীভাবে রায়ট পুলিশ লাঠি চালিয়ে ভিড় ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। কিন্তু সমর্থকরা পিছু হটেনি ‘ইমরান খান জিন্দাবাদ’, ‘আর্মি মুরদাবাদ’ স্লোগানে আকাশ ফাটাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে পুলিশের গুলির শব্দ শোনা যায়।
একটি পোস্টে বলা হয়েছে, “রওয়ালপিন্ডি আগুনে জ্বলছে। পুলিশ গুলি চালিয়েছে, দাঙ্গা শুরু হয়ে যাবে।” ‘ইমরান খান মারা গেছে’ বলে গুজব ছড়াতেই এই দাঙ্গা শুরু হয়েছে এবং ইমরান ভক্তরা জেলের বাইরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। আফগান মিডিয়া পর্যন্ত দাবি করে যে ‘আর্মি সোর্স’ থেকে খবর এসেছে, ইমরানকে ১৭ দিন আগে জেলে হত্যা করা হয়েছে। পিটিআই এসব অস্বীকার করে বলছে, “শান্ত থাকুন, ফ্যাক্ট চেক করুন।”
