লন্ডন: ব্রিটেনের ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়েছিল তার বর্ণগত পরিচয়ের কারণেই।
শনিবার রাতে ওয়ালসালের পার্ক হল এলাকায় রাস্তায় বিমূঢ় অবস্থায় বসে থাকা এক তরুণীকে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ পরে জানা যায়, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বছর ২০-র ওই তরুণী৷
অত্যন্ত ভয়াবহ ও অমানবিক ঘটনা
ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশের সিনিয়র অফিসার রোনান টায়র জানিয়েছেন, “এটি অত্যন্ত ভয়াবহ ও অমানবিক ঘটনা। অপরাধীকে গ্রেফতার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আমরা কোনওরকম আপস করব না।”
পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করেছে এবং স্থানীয় নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছে।
টায়র বলেন, “যদি কেউ ঘটনাস্থলে সন্দেহজনক কোনও ব্যক্তিকে দেখে থাকেন, অথবা গাড়ির ড্যাশক্যামে বা ব্যক্তিগত সিসিটিভিতে কিছু রেকর্ড হয়ে থাকে, অনুগ্রহ করে আমাদের জানাতে এগিয়ে আসুন। আপনার তথ্যটাই হতে পারে তদন্তের অগ্রগতির মূল চাবিকাঠি।”
নিন্দার ঝড় ব্রিটেন জুড়ে
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে ব্রিটেন জুড়ে। কোভেন্ট্রি সাউথের সংসদ সদস্য জারাহ সুলতানা এক্স-এ লিখেছেন, “শনিবার ওয়ালসালে পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত এক নারীকে বর্ণবিদ্বেষমূলক ধর্ষণ করা হয়েছে। এর আগেও ওল্ডবেরিতে এক শিখ মহিলার সঙ্গে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এই ভয়ঙ্কর বাস্তবতা প্রমাণ করে, বর্ণবাদ ও নারীবিদ্বেষ কীভাবে একে অপরকে শক্তি জোগায়-যা ফ্যাসিবাদ ও ঘৃণার রাজনীতিতে আরও উস্কানি দিচ্ছে। একজন নারী হিসেবে আমি জানি, এই ভয় কতটা বাস্তব।”
লেবার পার্টির সাংসদ প্রীত কৌর গিলও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, “ওয়ালসালে আবারও একটি বর্ণবিদ্বেষমূলক ধর্ষণের ঘটনা শুনে মর্মাহত। এই ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে সমাজকে একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে।”
বর্তমানে ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস পুলিশ একাধিক তদন্তসূত্রে কাজ করছে। অপরাধীর পরিচয় ও অবস্থান শনাক্ত করতে বিশেষ টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।


