বাংলার পড়শি নেপালে বাম-কংগ্রেস জোট সরকার, মাওবাদী প্রচণ্ডর পতন নিশ্চিত

বঙ্গে যা হয়নি পড়শি দেশ নেপালে (Nepal) সেটি চরম বাস্তব। এ দেশে বাম-কংগ্রেস জোটের সরকার হয়। হিমালয়ের দেশ নেপালের (Nepal) সরকারে বাম-কংগ্রেস জোট! ফের ক্ষমতাচ্যুত…

বঙ্গে যা হয়নি পড়শি দেশ নেপালে (Nepal) সেটি চরম বাস্তব। এ দেশে বাম-কংগ্রেস জোটের সরকার হয়। হিমালয়ের দেশ নেপালের (Nepal) সরকারে বাম-কংগ্রেস জোট! ফের ক্ষমতাচ্যুত হলেন মাওবাদী প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড।

লক্ষ্যনীয় নেপালের এই বাম-কংগ্রেস জোটের প্রধান দুই শরিক কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউএমএল) দলটি সিপিআইএমের ঘনিষ্ঠ। তাদের সঙ্গে জোট করেছে নেপালি কংগ্রেস। এই দলটি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের ঘনিষ্ঠ। দুটি দল জোট করে আস্থা ভোটে ফেলে দিল পুষ্পকুমার দাহাল প্রচন্ডর নেত়ৃত্বে চলা সরকার।

   

দশকের পর দশক রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধ শেষে নেপালে রাজতন্ত্র পুরোপুরি অবসান হওয়ার পর থেকে গণতান্ত্রিক পথে কাঠমাণ্ডুর কুর্সিতে বারবার নড়বড়ে সরকার বসছে। ঘন ঘন প্রধানমন্ত্রীর মুখ বদল নেপালের চরিত্র বলে জানাচ্ছে বিবিসি। গত দুবছরের মধ্যে চারটি আস্থা ভোট হয়েছে নেপালের সংসদে।

জঙ্গি সংগঠনে মহিলা সরবরাহকারী বাগদাদির স্ত্রীকে ফাঁসির সাজা

নেপালের ২৭৫ আসনের পার্লামেন্ট বা ‘প্রতিনিধি সভা’-তে প্রচণ্ডর নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওবাদী সেন্টার) দলটির ৩২জন সদস্য আছেন। অন্যদিকে কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন CPN (UML) দলটির ৭৮ জন সাংসদ। আর নেপালি কংগ্রেসের আছেন ৮৮ জন সাংসদ। বাম-কংগ্রেস জোটের সরকার ফের সরকারে।

কাঠমাণ্ডুর সংবাদ মাধ্যম Himalayan Times এর খবর, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির দল CPN(UML) প্রচণ্ডর নেতৃত্বে চলা মাওবাদী জোটের সরকার থেকে সরে গেছে। তারা নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নেয়। জোট সূত্র অনুসারে দুটি দলই আড়াই বছর করে সরকারে থাকবে। প্রথম দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন চিনের ঘনিষ্ঠ কমিউনিস্ট নেতা পি শর্মা ওলি। আর দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হবেন নেপালি কংগ্রেস নেতা শের বাহাদুর দেউবা।

মোদীর তৃতীয় দফায় LLB পাঠক্রমে ঢুকছে ‘নারী বিরোধী’ মনুস্মৃতি আইন, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় গরম

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে অত্যন্ত ঘনঘন পরিবর্তন হয় নেপালের প্রধানমন্ত্রীর মুখ। প্রচণ্ড, ওলি, দেউবা তিনজনই একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। দেশটির মূল রাজনৈতিক লড়াইয়ে নেপালি কংগ্রেস, CPN(UML) ও নেপালি মাওবাদীদের মধ্যে বারবার জোট হয় ও ভেঙে যায়।

মাওবাদী জোট সরকার থেকে CPN(UML) সমর্থন প্রত্যাহার করার পরেই প্রচণ্ডর পতন স্থির হয়ে যায়। তবে তিনি পদত্যাগ না করে আস্থা ভোট চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। নেপালি সংবিধানের 100 (2) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, জোট সরকারের শরিক রাজনৈতিক দল সমর্থন প্রত্যাহার করলে প্রধানমন্ত্রীকে তিরিশ দিনের মধ্যে আস্থা ভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হয়।

মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দাবিতে পড়ুয়া বিক্ষোভে গরম পদ্মাপারের জনজীবন, চাপে হাসিনা