সোমবার আমেরিকার ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশে সই করেছেন । এই আদেশগুলির মধ্যে ছিল ২০২১ সালের ক্যাপিটল হিল হাঙ্গামায় অভিযুক্তদের ক্ষমা প্রদান, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনা, টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা ৭৫ দিনের জন্য স্থগিত করা এবং বাইডেন প্রশাসনের ৭৮টি পদক্ষেপ বাতিল করা। এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার থেকে আমেরিকাকে বের করা।
ট্রাম্প সোমবার তার সমর্থকদের সামনে ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায় আটটি নির্বাহী আদেশে সই করেন, এরপর বাকি আদেশগুলো তিনি ফিরে এসে ওভাল অফিসে সই করেন। ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সই করা দলিল উঁচু করে দেখান এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কলম ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা নির্বাহী আদেশে সই করতে যাচ্ছি। প্রথমে, আমি পূর্ববর্তী প্রশাসনের প্রায় ৮০টি বিধ্বংসী ও উগ্র নির্বাহী আদেশ বাতিল করব, যা ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ প্রশাসনের একটি।”
৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্পের প্রথম আটটি নির্বাহী আদেশ ছিল:
১. ‘বাইডেন-যুগের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ স্থগিত’
২. ‘প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রেকে বের করে আনা’
৩. ‘সামরিক বাহিনী এবং কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র ছাড়া সব ফেডারেল নিয়োগ স্থগিত’
৪. ‘ফেডারেল কর্মীদের পূর্ণ সময়ের জন্য অফিসে ফিরে আসার নির্দেশনা’
৫. ‘জীবনযাত্রার খরচের সঙ্কট সমাধানে সব মন্ত্রণালয় এবং সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া’
৬. ‘নতুন নিয়ম-কানুন জারি স্থগিত, যাতে প্রশাসন পুরোপুরি সরকার নিয়ন্ত্রণ না নেয়’
৭. ‘মুক্ত মত প্রকাশের অধিকার পুনরুদ্ধার এবং বাক স্বাধীনতার ওপর সেন্সরশিপ প্রতিরোধ’
৮. ‘পূর্ববর্তী প্রশাসনের রাজনৈতিক বিরোধীদের বিরুদ্ধে সরকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করা’
এই পদক্ষেপগুলির মাধ্যমে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছেন এবং মার্কিন রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এছাড়াও এসব আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন জাতীয় নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন। এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে চান এবং দেশের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নীতিতে একটি নতুন দিশা নির্দেশ করতে চান।