Pakistan: পাক-সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ২২ থেকে ‘জেল ভরো আন্দোলনে’র ঘোষণা ইমরানের

Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জেল ভরো আন্দোলন (Jail Bharo movement) শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন।

imran khan

পাকিস্তানের (Pakistan) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান (Imran Khan) ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে জেল ভরো আন্দোলন (Jail Bharo movement) শুরু করার ঘোষণা দিয়েছেন। শুক্রবার রাতে তিনি এই ঘোষণা করেছেন৷ আন্দোলন শুরু হবে লাহোর থেকে। টিভিতে ভাষণ দেওয়ার সময় ইমরান বলেন, ‘আল্লাহ নে চাহা তো আমি আমার ‘জেল ভরো তেহরিক’ ঘোষণা করছি। আজ আমি আমার পুরো দলকে প্রস্তুতি নিতে বলছি। দেশের অন্যান্য শহরের আগে লাহোরে এই আন্দোলন হবে বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী।

আর কি বললেন ইমরান?
প্রাক্তন এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভয়কে পেছনে ফেলে গোটা দেশকে এ জন্য এগিয়ে আসতে হবে। লাহোরে তার বাড়ির বাইরে জড়ো হওয়ার জন্য তিনি তার সমর্থকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। তাও যখন গ্রেফতারের খড়গ ঝুলছিল ইমরানের ওপর। ইমরান আরও বলেন, ‘যুদ্ধ-ভূমিকম্প একটি দেশকে ধ্বংস করে না, বরং অন্যায় করে। আজ মূল্যস্ফীতি ও বেকারত্ব দেশের পিঠ ভেঙে দিয়েছে। এক কেজি ঘি ছুঁয়েছে ৬০০ কোটি কিলো। সরকার এর চিকিৎসা করছে না। ডিসপ্রিন দিয়ে যেভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা করা হয় সেভাবেই ঘটেছে। শ্রীলঙ্কা যেখানে ছিল আজ সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে পাকিস্তান। পাকিস্তান আরও নৈরাজ্যের মধ্যে ডুবে যাচ্ছে এবং পরিস্থিতি নাজুক হয়ে উঠেছে।

Imran khan

৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে অবৈধ।
ইমরান বলেছেন, বর্তমান জোট সরকার পাঞ্জাব এবং খাইবার পাখতুনখোয়ায় নির্বাচন বিলম্বিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। তা সত্ত্বেও উভয় স্থানেই প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইমরান বলেন, ‘সংবিধানের কথা মাথায় রেখে আমরা বিধানসভা ভেঙে দিয়েছি। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন না হলে ৯১তম দিনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার অবৈধ হবে এবং তারা সংবিধানের ৬ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করবে।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন সংবিধান অনুযায়ী কাজ করছে না। আদালতে অজুহাত দিচ্ছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। ইমরান বলেন, ‘তারা (সরকার) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ দিচ্ছে কারণ তারা জানে যে নির্বাচন হলে তারা হেরে যাবে। তারা সংবিধান লঙ্ঘন করতে চায় বা করাচির মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় যেখানে তারা নির্বাচন বিলম্বিত করতে থাকে এবং শেষ পর্যন্ত একটি তারিখ দেয় যাতে প্রস্তুতির জন্য সময় থাকে না। তারা মনে করেন কম ভোটার তাদের কারচুপিতে সহায়তা করবে।