Pakistan: ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির ভেঙে পাকিস্তানে তৈরি হচ্ছে শপিং মল!

পাকিস্তানে (Pakistan) ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওই মন্দিরটি ১৯৪৭ সাল থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা…

পাকিস্তানে (Pakistan) ঐতিহাসিক হিন্দু মন্দির ভেঙে তৈরি করা হচ্ছে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স। পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে পাখতুনখোয়া প্রদেশের ওই মন্দিরটি ১৯৪৭ সাল থেকে বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সময় ওখানকার হিন্দুরা একসঙ্গে ভারতে চলে আসায় মন্দিরটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। খাইবার জেলার সীমান্ত শহর লেন্ডি কোটাল বাজারে এই অবস্থিত এই মন্দিরের নাম খাইবার মন্দির। 

বছরের পর বছর রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় সেটি অবস্থাও খারাপ হতে শুরু করেছিল। সেখানেই সপ্তাহদুয়েক আগে বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হয়েছে। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি, ওই এলাকায় কোনও হিন্দু মন্দির ছিল না। নিয়ম অনুযায়ী নির্মাণ কাজ চলছে।

   

লেন্ডি কোটালের বাসিন্দা তথা সাংবাদিক ইব্রাহিম শিনওয়ারি বলেন, মন্দিরটি লেন্ডি কোটাল বাজারের একেবারে কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ছিল। আমি এই বিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত। সেটি 1947 সালের পর বন্ধ করে দেওয়া হয়। ১৯৯২ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর মন্দিরের ওপর আক্রমণ করা হয়েছিল। তার ফলে সেটি ক্ষতিগ্রস্তও হয়। ওই সময়ও বেশ কিছু হিন্দু ভারতে চলে যান। 

পাকিস্তান হিন্দু মন্দির ব্যবস্থাপনা কমিটির তরফে হারুন সরবদিয়াল বলেন, অমুসলিমদের ভালোমন্দ দেখা তো সরকারেরই কাজ। বিভিন্ন ঐতিহাসিক মন্দির, ভবনের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনমাফিক পুনর্বাসন নিশ্চিত করা জেলা প্রশাসন এবং সরকারের অন্যতম দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। প্রত্নতত্ত্ব ও জাদুঘর বিভাগ, পুলিশ, সংস্কৃতি বিভাগ এবং স্থানীয় প্রশাসন 2016 সালের প্রত্নতত্ত্ব আইন অনুযায়ী উপাসনালয় সহ এই জাতীয় ঐতিহাসিক স্থানগুলিকে রক্ষা করার বিষয়ে দায়বদ্ধ।

লেন্ডি কোটালের সহকারী কমিশনার মহম্মদ ইরশাদ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ওখানে কোনও মন্দির ছিল না। তিনি বলেন, খাইবার জেলার সরকারি ভূমি রেকর্ডে মন্দিরের কোনও উল্লেখ নেই। লেন্ডি কোটাল বাজারে গোটা এলাকাটাই সরকারের মালিকানাধীন। তাই ওখানে মন্দির থাকার প্রশ্নই ওঠে না। ওই এলাকার কিছু দোকান সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। সেই মতো এক নির্মাণ সংস্থা ব্যবসায়ীদের কথামতো প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে এনওসি-ও সংগ্রহ করেছে।

তহশিল মিউনিসিপ্যাল অফিসার শাহবাজ খান বলেন, যাবতীয় বিল্ডিং প্ল্যান দেখে প্রয়োজনীয় ফি নিয়েই স্থানীয় প্রশাসন বাণিজ্যিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য সবুজ সংকেত দিয়েছে। লেন্ডি কোটালের পাটওয়ারি জামাল আফ্রিদি বলেন, এই নির্মাণ কাজ সম্পর্কে আমার কাছে তথ্য ছিল না। সরকারি খাতায় মন্দিরের কোনও উল্লেখ নেই। সংখ্যালঘুদের প্রতি সরকার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে শীঘ্রই মন্দির এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য উধাও হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।