Pakistan Attack Fails: পাকিস্তান ভারতের উপর ‘ফতেহ-১’ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। কিন্তু ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা তথ্য এবং ভারতীয় বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হরিয়ানার সিরসায় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি আকাশে ধ্বংস করে দেয়। পাকিস্তান প্রায়শই তার ক্ষেপণাস্ত্রের প্রশংসা করে, কিন্তু এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানেরও ঘৌরি এবং শাহীন ক্ষেপণাস্ত্র আছে, তাদের সম্পর্কেও জানুন।
পাকিস্তানের ঘৌরি ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী?
ঘৌরি একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (MRBM)। গৌরী-১ এর পাল্লা ১১০০-১৫০০ কিলোমিটার, যেখানে ঘৌরি এর পাল্লা ১৮০০-২০০০ কিলোমিটার। এর পেলোড ক্ষমতা ৫০০-১৫০০ কেজি। এটিকে পাকিস্তানের তৃতীয় সবচেয়ে বিপজ্জনক ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ২০০৩ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়। ঘৌরি ক্ষেপণাস্ত্রটি একাধিক শহরকে লক্ষ্যবস্তু করতে পারে, তবে এর নির্ভুলতা ভারতের ‘অগ্নি এবং পৃথ্বী’ ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে কম।
পাকিস্তানের শাহীন ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী?
শাহীন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্বল্প, মাঝারি এবং দীর্ঘ পাল্লার জন্য। শাহীন-১ এর পাল্লা ৭৫০-৯০০ কিলোমিটার। শাহীন-২ এর পাল্লা ১৫০০-২০০০ কিলোমিটার। শাহীন-৩ এর পাল্লা ২৭৫০ কিলোমিটার। এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ৫০০-১৫০০ কেজি ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। শাহীন-৩ এর দূরপাল্লার এবং পারমাণবিক ক্ষমতা এটিকে পাকিস্তানের সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্রে পরিণত করে।
এই সিস্টেমটি তাদের সমস্ত কাজ করতে পারে
ভারতের কাছে অত্যাধুনিক S-400 বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, এর পাশাপাশি ব্যালিস্টিক মিসাইল প্রতিরক্ষা (BMD) ব্যবস্থাও রয়েছে। এগুলোর ঘৌরি ক্ষেপণাস্ত্রকে বাতাসে আঘাত করার ক্ষমতা রয়েছে। ভারতের S-400 প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং দেশীয়ভাবে তৈরি AD-1, AD-2 ইন্টারসেপ্টরগুলি শাহীন ক্ষেপণাস্ত্রকেও লক্ষ্যবস্তুতে এগিয়ে রাখবে। ভারতের অগ্নি-৪ এবং অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রগুলি পাল্লা এবং প্রযুক্তিতে শাহীন-৩-এর চেয়ে এগিয়ে। অতএব, এটা বলা যেতে পারে যে শাহিন এবং ঘৌরিকে মোকাবিলা করার জন্য ভারতের পর্যাপ্ত সম্পদ রয়েছে।