পাকিস্তানে বড় জঙ্গি হামলা! খাইবার পাখতুনখোয়ায় নিহত ১৬ পাক সেনা, আহত ৮

Pak Terrorist Attack: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়ার আপার ডিস্ট্রিক্টে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাসের মধ্যে মাকিন এলাকায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এতে পাকিস্তানের ১৬…

Pakistan Army

Pak Terrorist Attack: পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখওয়ার আপার ডিস্ট্রিক্টে বড় ধরনের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। কয়েক মাসের মধ্যে মাকিন এলাকায় এটাই সবচেয়ে বড় হামলা। এতে পাকিস্তানের ১৬ সেনা নিহত ও ৮ জন আহত হয়। খোরাসান ডায়েরির খবরে বলা হয়েছে, “লিটা সার এলাকার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে গভীর রাতে হামলা হয়েছে,” একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন। আফগানিস্তান সীমান্তে পাকিস্তানে ক্রমাগত জঙ্গি হামলা দেখা যাচ্ছে। এখানে তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তানের জঙ্গিরা প্রতিদিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে ৫ অক্টোবর বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলায় ১৬ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। খুররম জেলায় হামলায় সাত সেনা নিহত ও দুজন আহত হয়। বিশ্বব্যাপী মনোনীত জঙ্গি সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি) হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানা গেছে। শনিবারের হামলায় টিটিপি জঙ্গিরাও জড়িত বলে ধারণা করা হচ্ছে। টিটিপি হামলা পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার কারণ।

   

সরকারী পরিসংখ্যান অনুসারে, খাইবার পাখতুনখোয়ায় টিটিপি-এর নেতৃত্বাধীন এবং বালুচিস্তান প্রদেশে বিচ্ছিন্নতাবাদী জাতিগত বেলুচ বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের ফলে এই বছরেই শত শত নিরাপত্তা কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। পাকিস্তানের অভিযোগ, টিটিপি জঙ্গিরা আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের কাছ থেকে সমর্থন পায়। তবে তালিবান বলে আসছে যে তারা তাদের ভূমি জঙ্গি কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহার করতে দিচ্ছে না।

মঙ্গলবার পাকিস্তানের অশান্ত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে একটি পুলিশ চেক পোস্টে জঙ্গিরা গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, অন্তত দুই পুলিশ সদস্য নিহত এবং তিনজন আহত হয়। পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পাহাড়ি এলাকার সাংলা জেলার চাকেসার এলাকায় এই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসী নিরাপত্তা পোস্টে গ্রেনেড নিক্ষেপ করে এবং গুলি চালায়। চকসারে একটি পুলিশ পোস্টে সন্ত্রাসীদের গ্রেনেড হামলায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আহত পুলিশ কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিকভাবে বটগ্রামের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।