কিম জং উনের (Kim Jong Un) রাগ উঠলে কী হয় তা ফের দেখল বিশ্ব। তাঁর নির্দেশে ‘শত্রু’ পড়শি দেশ দক্ষিণ কোরিয়ার লাগোয়া সীমান্ত চেকপোস্টে বিস্ফোরণ ঘটালো উত্তর কোরিয়া। ভয়াবহ বিস্ফোরণে দুই দেশের সীমান্তে থাকা রেল স্টেশন সম্পূর্ণ ধংস।
রয়টার্স জানাচ্ছে, মঙ্গলবার দুই কোরিয়ার মধ্যে আন্ত-কোরিয়ান সড়ক ও রেললাইনের অংশ উড়িয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া সরকার। বিস্ফোরণের পরেই দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী গুলি চালায়। তীব্র উত্তেজনা।
Asia Today বিশ্লেষণ, পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চিন, রাশিয়া। আর দক্ষিণ কোরিয়ার মিত্র দেশ আমেরিকা। ফলে উত্তর কোরিয়ার যে কোনও সামরিক পদক্ষেপ আমেরিকার কাছে উদ্বেগজনক।
রয়টার্স জানাচ্ছে, কিম জং উন গত সপ্তাহেই নির্দেশ দিয়েছিলেন আন্তঃ-কোরিয়ান সড়ক ও রেলপথ সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করা হবে। মঙ্গলবার মধ্যাহ্নের দিকে, দুই কোরিয়ার সংযুক্ত সড়ক ও রেললাইনের উত্তরের কিছু অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অফ স্টাফ (জেসিএস) জানিয়েছে।
কিম জং উনের কার্যকলাপে তীব্র আতঙ্ক সিওলে। দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী শহরে জারি সতর্কতা। এমনই জানাচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
বিবিসি’র খবর, উত্তর কোরিয়া সরকারের অভিযোগ, গত সপ্তাহে তাদের আকাশ সীমার মধ্যে ড্রোন পাঠিয়েছিল দক্ষিণ কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া বলেছে ড্রোনগুলি এমন লিফলেট ছড়িয়ে দিয়েছে যা প্ররোচনামূলক। উত্তর কোরিয়ার সর্বময় শাসক কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং বলেন এর জন্য সিওলকে “মূল্য দিতে হবে”।
উত্তর কোরিয়া থেকে ভেসে আসা আবর্জনার বেলুন পড়েছিল দক্ষিণ কোরিয়ায়। এ নিয়েও দুই কোরিয়ার মধ্যে বৈরিতা বেড়ে চলেছে।