Big Update: সুশীলা কারকি নন, কে হচ্ছেন নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান?

কাঠমান্ডু: মঙ্গলবার অlলি সরকার পতনের পর নেপালের হাল কে ধরবেন এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বুধবার ‘জেন জি’-এর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা…

কাঠমান্ডু: মঙ্গলবার অlলি সরকার পতনের পর নেপালের হাল কে ধরবেন এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। বুধবার ‘জেন জি’-এর সঙ্গে অনলাইন বৈঠকের পর প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির নাম অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ হিসেবে উঠে আসে। প্রায় ২৫০০ জন যুবকযুবতী ডিসকর্ড অ্যাপে কারকির নামে ভোট দেয়। নেপালের শাসনব্যবস্থার রাশ ধরতে সেনার সঙ্গে আলোচনাও শুরু করে দিয়েছিলেন বলে শোনা যায় কারকি। তবে সেই সম্ভাবনা কার্যকর হচ্ছে না বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisements

চমকপ্রদ ভাবেই বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ হিসেবে উঠে এল ইঞ্জিনিয়ার কূলমন ঘিসিং-এর নাম। নেপালকে বিদ্যুৎ বিভ্রাট থেকে উদ্ধারকারী ঘিসিং-এর নাম সামনে আসতেই প্রতিবাদীদের মধ্যে চিড় ধরার আশঙ্কাও সামনে উঠে আসছে। বলা বাহুল্য, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে জেন জি-এর সরবচেয়ে পছন্দের নাম ছিল কাঠমান্ডুর মেয়র বালেন শাহ।

   

কিন্তু বুধবার সন্ধে পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি প্রতিবাদীরা। ফলে বালেন শাহের পরিবর্তে ছাত্রযুবদের ‘পছন্দ’ হিসেবে নাম আসে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকির। তবে, বর্তমানে তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের মুখ হিসেবে বাদ দিলেন বলেই মনে কড়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার আন্দোলনকারীদের তরফে দাবি করা হয়, প্রাক্তন কোনও বিচারপতি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না বলে সংবিধানের উল্লেখ করা আছে এবং যুবকদের নেত্রী হিসেবে কারকি বেশ বয়স্কা।

অন্যদিকে, ঘিসিং একজন “দেশপ্রেমী” এবং “সকলের প্রিয়” বলে দাবি প্রতিবাদীদের একাংশের। তবে এভারেস্টের দেশের বাগডোর যার হাতেই উঠুক না কেন, তাঁর শপথ গ্রহণের আগে দেশজুড়ে “ইমারজেন্সি” জারি করতে পারে সেনা। বর্তমানে নেপালের শাসনভার তুলে নিয়েছে সেনাবাহিনী। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানীতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে টহল দিচ্ছেন সেনারা। সোমবার থেকে প্রায় ৩১ জন যুবকের মৃত্যু হয়েছে, আহত শতাধিক।