উত্তর কোরিয়া সোমবার জানিয়েছে যে তাদের নেতা কিম জং উন (Kim Jong Un) একটি নতুন অস্ত্র কারখানা পরিদর্শন করেছেন যা তার ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনের পরিকল্পনা ত্বরান্বিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিনে একটি বড় সেনা প্যারেডে যোগদানের আগে তিনি এই সফর করেন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) কিম যে কারখানাটি পরিদর্শন করেছেন তা কোথায় অবস্থিত তা জানায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে এটি চিনের সীমান্তবর্তী দেশটির প্রধান অস্ত্র শিল্প কেন্দ্র জাংগাং প্রদেশে অবস্থিত।
চিনে একটি বিশাল কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে
চিন এবং উত্তর কোরিয়া উভয়ই গত সপ্তাহে নিশ্চিত করেছে যে কিম ৬ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো চিন সফর করবেন এবং বুধবার বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিতব্য একটি সামরিক কুচকাওয়াজে যোগ দেবেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি এবং জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চিনের প্রতিরোধের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং কর্তৃক আমন্ত্রিত ২৬ জন বিদেশী নেতার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও রয়েছেন। ইউক্রেনের আক্রমণে কিমের কাছ থেকে পুতিন ব্যাপক সমর্থন পেয়েছেন।
কিম জং উন ট্রেনে চিন ভ্রমণ করতে পারেন। বেইজিংয়ের এই কুচকাওয়াজ দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার করার আমেরিকার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে তিনটি দেশের ঘনিষ্ঠতা প্রদর্শন করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যমে জল্পনা চলছে যে কিম সোমবার ট্রেনে করে চিনের উদ্দেশ্যে রওনা হতে পারেন। চিনের সীমান্তবর্তী শহর ডানডং-এ নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন যে কিম রাশিয়াকে প্রচুর পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করছেন, যার মধ্যে রয়েছে কামান এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, এবং হাজার হাজার সৈন্য পাঠিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার উপর ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকা তাদের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড’ সম্পন্ন করেছে। এই যৌথ সামরিক মহড়া নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকার উপর ক্ষুব্ধ উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়া সতর্ক করে দিয়েছিল যে এই ধরনের মহড়া আঞ্চলিক উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে।