নয়াদিল্লি: যতই ভারত-বিরোধী আস্ফালন করুক না কেন, নিজের দেশেই মুখ পুড়ছে শাহবাজ শরিফের (Shehbaz Sharif)। উত্তরে পাক-অধিকৃত কাশ্মীর থেকে বালুচিস্তান, পকিস্তান (Pakistan) সরকারের হাত থেকে মুক্তির দাবি চাইছে সাধারণ মানুষ। স্বাধীনতার পর থেকেই পাকিস্তানের (Pakistan) সরকার সন্ত্রাসে মদত আর অস্ত্র কিনতে গিয়ে নিজের দেশের মানুষকেই ন্যূনতম সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছে বলে একাধিকবার উঠেছে অভিযোগ।
খরা-বন্যা হোক বা দুর্ভিক্ষ, দেশের মানুষের দুর্বিষহ পরিস্থিতিতে জেন নজরেই পড়ে না পাক-শাসকের। তাই ‘বঞ্চিত’ বালুচিস্তান চাইছে স্বাধীনতা। সেখানে খাদ্যসামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। জানা গিয়েছে, ২০ কিলো আটার প্যাকেটের দাম পৌঁছেছে ২৩০০ পাকিস্তানি রুপীতে। অর্থাৎ, কেজি প্রতি আটার দাম ১১৫ রুপী! যা ভারতের প্রায় দ্বিগুণ! বালুচিস্তানে (Balochistan) খাদ্যসামগ্রীর সরবরাহ, ব্যবস্থাপনা, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে ধ্বসে পড়েছে।
সংবাদসংস্থার তথ্য অনুযায়ী, যখন মার্চ-এপ্রিলে গমের দাম কম এবং উৎপাদন বেশি থাকে, প্রশাসন তখন আটা তৈরির পরিবর্তে প্রায় ৮ লক্ষ পুরনো গম বিক্রির দিকে বেশি নজর দেয়। আধিকারিকদের মতে এই কাজের ফলে নষ্ট কম হয়। কিন্তু এর ফলে প্রায় ৬ বিলিয়ন পাকিস্তানী রুপীর লোকসান হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফল, বিগত কয়েক সপ্তাহে রুটি খাওয়া কার্যত বিলাসিতা হয়ে গিয়েছে বালুচিস্তানে।
কোয়েত্তা প্রদেশের এক দোকানী বলেন, “প্রায় কয়েক দশক ধরে আমরা ব্যাবসা করছি। কিন্তু এক প্যাকেট আটার দাম ২০০ টাকা হবে কোনদিন ভাবতে পারিনি”। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবারগুলো খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে। এরকম চলতে থাকলে দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
দুর্নীতির পোকায় খাচ্ছে আটা!
এই অবস্থার পেছনে ঘোরতর অন্ধকার সত্য হল দুর্নীতি, বলে মনে করা হচ্ছে। বালুচিস্তানের দুর্নীতি-দমন শাখা ঘটনার তদন্তে বিলিয়ন রুপীর দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছেন। গম উৎপাদন থেকে প্রক্রিয়া ও বাজারজাত করে ক্রেতার হাতে পৌঁছনর প্রক্রিয়া মুনাফাখোরে ভরে গিয়েছে। বিগত কয়েক দশক ধরে বালুচিস্তানের সঙ্গে পাক-সরকারের ‘দুয়োরাণী’ সুলভ আচরণও এর কারণ বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
তাঁদের প্রধান খাদ্য রুটি
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমনিতেই বর্তমানে উত্তপ্ত বালুচিস্তান। পাকিস্তান থেকে আলাদা হওয়ার সংরামে নেমেছে বালুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (BLA)। এই আবহে খাদ্যসংকট, শাহবাজ শরিফের জন্য নতুন অস্বস্তি তৈরি করবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, মানুষ পথে নেমে বিক্ষোভ শুরু করতে পারেন বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।