দেশে পরপর আত্মঘাতী হামলায় নিহত কমপক্ষে ১৮ জন

বড়সড় দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল সমগ্র দেশ। শুরু হল মৃত্যুমিছিল। আত্মঘাতী হামলায় (Blast) কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৮ জনেরও বেশি মানুষ। যদিও…

বড়সড় দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠল সমগ্র দেশ। শুরু হল মৃত্যুমিছিল। আত্মঘাতী হামলায় (Blast) কমপক্ষে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪৮ জনেরও বেশি মানুষ। যদিও আহত ও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। ঘটনাটি ঘটেছে নাইজেরিয়ায় (Nigeria)।

জানা গিয়েছে, নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে তিনটি আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনটি আত্মঘাতী হামলায় অন্তত ১৮ জন নিহত ও ৪৮ জনেরও বেশি মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। বোকো হারাম জঙ্গিরা ২০১৪ সালে বোর্নোর উত্তরাঞ্চলের বিশাল অংশ দখল করে নেয়। ২০১৫ সালে নাইজেরীয় বাহিনী চাদের সেনাবাহিনীর সহায়তায় শহরটি পুনর্দখল করে, কিন্তু তারপর থেকে দলটি শহরের নিকটবর্তী পাহাড় থেকে হামলা অব্যাহত রেখেছে।

   

এরপর লাগাতার হিংসার জেরে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ৪০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ২০ লাখ মানুষ। সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে প্রতিবেশী দেশ নাইজার, ক্যামেরুন ও চাদে। এ কারণেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য একটি আঞ্চলিক সামরিক সংগঠন গঠন করা হয়েছে। গোজা শহরে তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। প্রথম হামলাটি করেন এক মহিলা। হামলাকারী একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে বিস্ফোরণ ঘটায়।

দ্বিতীয় হামলাটি হয় সীমান্তবর্তী শহর ক্যামেরুনের একটি হাসপাতালে। তৃতীয় হামলাটি হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে। বোর্নিয়া স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, হামলায় ১৮ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে শিশু, মহিলা, পুরুষ ও গর্ভবতী মহিলা রয়েছেন। আহত ৪২ জনের মধ্যে ১৯ জন গুরুতর আহত হয়েছেন এবং তাদের মাইদুগুরিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, অন্য ২৩ জনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

গোজায় সেনাবাহিনীকে সহায়তাকারী এক মিলিশিয়া সদস্য জানিয়েছেন, একটি নিরাপত্তা চৌকিতে পৃথক হামলায় সেনার দুই সহযোদ্ধা ও এক সেনা জওয়ান নিহত হয়েছেন।