New York Accident: হাডসন নদীতে চপার দুর্ঘটনার দু দিনের মাথায় বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে হেলিকপ্টার কোম্পানি।
মাঝ আকাশে বিকল হয়ে আমেরিকার হাডসন নদীতে ভেঙে পড়ে হেলিকপ্টার। গত শুক্রবারের এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন চপারে থাকা ৬ জন যাত্রী। পাইলট ছাড়া ছিল ৫ জনের এক স্প্যানিশ পরিবার। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি কোম্পানি সিমেন্সের স্প্যানিশ বিভাগের প্রধান অগাস্টিন এসকোবার। এছাড়াও প্রাণ হারান অগাস্টিনের স্ত্রী এবং তাঁদের ৩ সন্তান। দুর্ঘটনার জেরে পরিষেবা বন্ধ করার সীদ্ধান্ত হেলিকপ্টার কোম্পানির।
দ্য নিউ ইয়র্ক হেলিকপ্টার ট্যুরস আর কোনও পরিষেবা দেবেনা, রবিবার স্পষ্ট জানিয়েছে দিয়েছে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএফএ)। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে যে অপারেটরের লাইসেন্স এবং নিরাপত্তা রেকর্ডের তাৎক্ষণিক পর্যালোচনা শুরু করবে কর্তৃপক্ষ।
এক্স হ্যান্ডেলে FFA পোস্ট করে চপার নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের দিকে আলোকপাত করেছে। এফএফএ জানিয়েছে যে ইতিমধ্যেই তারা দেশব্যাপী বিমান এবং হেলিকপ্টার হটস্পটগুলি বিশ্লেষণ করছে। আগামী ২২ শে এপ্রিল একটি হেলিকপ্টার নিরাপত্তা প্যানেল আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। পোস্টে জানিয়েছে যে এই প্যানেল আয়োজন করা হবে যাতে, “ফলাফল, ঝুঁকি এবং অতিরিক্ত প্রশমন বিকল্পগুলি নিয়ে আলোচনা করা যায়।”
পোস্টে আরও বলা হয়েছে যে, “নিরাপত্তা হল FAA-এর এক নম্বর অগ্রাধিকার, এবং আমরা উড়ন্ত জনসাধারণকে রক্ষা করার জন্য পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করব না।”
FAA Statement⁰⁰New York Helicopter Tours — the company involved in the deadly crash on the Hudson earlier this week — is shutting down their operations immediately.⁰ ⁰We will continue to support @NTSB’s investigation. Additionally, the FAA will be launching an immediate…
— The FAA ✈️ (@FAANews) April 14, 2025
শুক্রবারের দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অগাস্টিন এসকোবার (৪৯), তাঁর স্ত্রী মার্স ক্যাম্প্রুবি মোন্টাল, তাঁদের ৩ সন্তান – ৪ এবং ১১ বছরে দুই ছেলে, এবং একটি মেয়ে। ৫ জন কে নিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে দুপুর ৩টে নাগাদ যাত্রা শুরু করেন। রাডার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, হেলিকপ্টারটি ম্যানহাটনের আকাশরেখা ধরে যাত্রা করে। তারপর দক্ষিণে স্ট্যাচু অফ লিবার্টির দিকে যাত্রা করে। এরপর ভেঙে পড়ে চপারটি।
২০০৪ সালে নির্মিত, বেল২০৬এল-৪ লংরেঞ্জার ৪ (Bell206L-4 LongRanger IV aircraft) বিমানটি মেরামতের প্রয়োজন হওয়ার আগে ১২,৭২৮ ঘন্টা উড়েছিল। হেলিকপ্টারটি ২০১৬ সালে এর বিমান চলাচলের যোগ্যতার শংসাপত্র পেয়েছিল এবং এটি ২০২৯ সাল পর্যন্ত বৈধ ছিল।
এফএএ এবং জাতীয় পরিবহন সুরক্ষা বোর্ড (এনটিএসবি) দুর্ঘটনার তদন্ত করছে।