ট্রাম্পের আমেরিকায় FBI ডিরেক্টর এবার ‘ভারতীয়’ কাশ্যপ প্যাটেল, জানুন কে এই গুজরাতি!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টিমের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসলেন আরও এক ভারতীয় বংশদ্ভূত। কাশ্যপ প্যাটেল (Kashyap Patel), একদা গুজরাতের বাসিন্দা এই কাশ্যপ ওরফে ‘কাশ’ই হচ্ছেন আমেরিকার…

New FBI Director Kashyap Patel Appointed by Donald Trump

ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টিমের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসলেন আরও এক ভারতীয় বংশদ্ভূত। কাশ্যপ প্যাটেল (Kashyap Patel), একদা গুজরাতের বাসিন্দা এই কাশ্যপ ওরফে ‘কাশ’ই হচ্ছেন আমেরিকার (USA) গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইএ-র (FBI) পরবর্তী ডিরেক্টর। রবিবার এমনটাই জানানো হয়ে ‘প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট’ ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) টিমের পক্ষ থেকে। সম্প্রতি ন্যাশনাল হেলথ ডিরেক্টরের পদে বাংলার জয় ভট্টাচার্যের মতো আরও এক ভারতীয় বংশদ্ভূতকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

পেট্রল পাম্পে কাজ করতেন, বন্দুকবাজের গুলিতে শিকাগোতে প্রাণ হারালেন ভারতীয় ছাত্র

   

এছাড়াও ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের মতো গোয়েন্দা সংস্থার সর্বোচ্চ পদে বসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী তুলসি গ্যাবার্ড। যিনি একাধারে ইসকনের ভক্ত। তাঁর নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই রক্তচাপ বেড়েছে বাংলাদেশের। ট্রাম্প প্রশাসনে ভারতীয়দের সর্বোচ্চ পদাধিকার নিঃসন্দেহে ভারতের পক্ষে কিছুটা হলেও কূটনৈতিকভাবে স্বস্তিদায়ক হতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞমহল।

কাশ্যপ ওরফে ‘কাশ’ প্যাটেল ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ট বলেই পরিচিত। এই প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প বলেন, ” কাশ্য প্যাটেল একজন অত্যন্ত ভালো আইনজীবী, ও তদন্তকারী। যিনি নিজের ক্যারিয়ার আমেরিকায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উৎসর্গ করেছেন। আমি গর্বিত কাশ্যই পরবর্তী মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ডিরেক্টর হচ্ছেন।”

কশ্যপ পটেল, যিনি মূলত গুজরাতি বংশোদ্ভূত, কিন্তু তাঁর পরিবারের ইতিহাস অনেকটাই বৈচিত্র্যময়। তাঁর বাবা-মা ১৯৭০ সালে উগান্ডার স্বৈরশাসক ইদি আমিনের শাসনকাল চলাকালীন পূর্ব আফ্রিকা থেকে পালিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নেন। পটেল পরিবারের এই অভিবাসন এক আশ্চর্যজনক অধ্যায় হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ আফ্রিকার সেই অস্থির সময়ে তাদের এই নির্যাতিত পরিবার একটি নতুন জীবনের খোঁজে আমেরিকায় পাড়ি জমায়।

প্রবল জ্বর গলাব্যাথা, গ্রামের বাড়িতে অসুস্থ শিন্ডে, মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্নে জল্পনা জারি

কাশ্যপ পটেল বর্তমানে একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরামর্শক এবং সুরক্ষাসংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত। আমেরিকার রাজনীতিতে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে তাঁর পরিচিতি রয়েছে, এবং ট্রাম্পের প্রশাসনের বিভিন্ন নীতির সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে, সিআইএ সম্পর্কিত আলোচনা চলছে, যেখানে তাকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদে দেখা যেতে পারে।

অতীতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং ইন্টেলিজেন্স (CIA) সংক্রান্ত হাউসের স্থায়ী নির্বাচন কমিটির সিনিয়র কাউন্সিল হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন কাশ্যপ। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রভাবিত করার জন্য রাশিয়ার নাক গলানোর যে অভিযোগ উঠেছিল, তা নিয়ে তদন্তের নেতৃত্বও দেন তিনি। সন্ত্রাস বিরোধী একাধিক অপারেশনে নের্তৃত্ব দিয়েছেন তিনি। দক্ষতার সঙ্গেই মোকাবিলা করেছেন একাধিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ।

বাংলাদেশের হিন্দুদের নাগরিত্ব দেওয়ার দাবি দিলীপের

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, কশ্যপ পটেল রাজনীতির বাইরে আরও অনেক ক্ষেত্রেও সক্রিয় রয়েছেন, যেমন সুরক্ষা, গোয়েন্দা বিষয়ক পরামর্শ, এবং গণমাধ্যমে পরামর্শদাতা হিসেবে তার ভূমিকা। তবে মূলত ট্রাম্পের পাশে থেকে কাজ করার জন্য তিনি বেশ পরিচিত। কশ্যপের রাজনৈতিক প্রভাব এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত জ্ঞানের কারণে ট্রাম্পের আসন্ন প্রশাসনে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ পদল দেওয়া হল বলেই মনে করা হচ্ছে। এছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসনের ওপরে এলন মাস্কের সঙ্গে একই পদে রয়েছেন ভারতীয় বংশদ্ভূত রামাস্বামী। সর্বোপরি আসন্ন ট্রাম্প প্রশাসনে ভারতীয় বংশদ্ভূতদের প্রভাব নয়াদিল্লির সঙ্গে ওয়াশিংটনের সম্পর্ক কোনদিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে দুই দেশ।