চিন একটি নতুন আক্রমণকারী সাবমেরিন তৈরি করছে। ফিলিপাইনে মোতায়েন মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে টার্গেট করতে ব্যবহার হবে এই সাবমেরিন। এমনটাই দাবি করা হচ্ছে। চিনের আধা-সরকারি সামরিক মেইগজিন নেভাল অ্যান্ড মার্চেন্ট শিপসে প্রকাশিত রিপোর্টে এই সাবমেরিনের সক্ষমতা ও নকশা সম্পর্কে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
লক্ষ্য সামরিক উপস্থিতি প্রতিহত করা
রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই আক্রমণ সাবমেরিনের উদ্দেশ্য হল এলাকায় বাড়তে থাকা সামরিক উপস্থিতি মোকাবিলা করা। এছাড়াও, চিনের নৌ সক্ষমতা উন্নত করতে হবে। তবে চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এখনো নিশ্চিত করেনি যে সাবমেরিনটি বড় পরিসরে তৈরি হচ্ছে।
চিনের নতুন সাবমেরিনের বৈশিষ্ট্য কী?
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের নতুন সাবমেরিনটি উন্নত হাইপারসনিক মিসাইল বহন করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে শত্রুর প্রতিরক্ষার বাইরে গোপনে হামলা চালানোর সুযোগ পাবে চিনা সেনাবাহিনী। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের অতিরিক্ত বিকল্পও দেয়।
এই সাবমেরিনগুলি বাকি সামরিক বাহিনীর সাথে সমন্বয় সাধন করবে এবং প্রথম দ্বীপ শৃঙ্খলের মধ্যে শত্রু ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এবং সামরিক লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে কৌশলগত প্রতিরোধকে শক্তিশালী করবে বলে এর ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। এই তথাকথিত প্রথম দ্বীপ শৃঙ্খল হল জাপান থেকে ফিলিপাইন পর্যন্ত বিস্তৃত দ্বীপগুলির একটি শৃঙ্খল। চিনা সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এটি আমেরিকার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষামূলক লাইন।
সাবমেরিন ছত্রভঙ্গ করতে পারে
রিপোর্টে বলা হয়েছে, চিনের নতুন সাবমেরিন একা বা ছোট দলে মোতায়েন শত্রু বাহিনীকে ছত্রভঙ্গ করতে পারে। এই কৌশলটি চিনের প্রধান সেনাবাহিনীকে ফায়ারপাওয়ার এবং ফোর্স উভয় ক্ষেত্রেই একটি সিদ্ধান্তমূলক প্রান্ত দেবে। এটি অপারেশনের গুরুত্বপূর্ণ থিয়েটারগুলিতে বিজয় নিশ্চিত করবে।
আমেরিকার টাইফুন লঞ্চার ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে মোতায়েন করা হয়েছে। চিন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার কথা মাথায় রেখেই আমেরিকা এটি মোতায়েন করেছে। তাদের লক্ষ্যবস্তুতে নতুন সাবমেরিন ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।