কাঠমান্ডু: নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কারকির (Sushila Karki) হাত ধরে সেজে উঠছে নেপালের (Nepal) নতুন মন্ত্রীসভা। রাষ্ট্রপতির দফতরে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ নামের মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সুশীলা কারকি, বলে শীতল নিবাস সূত্রে খবর। যার মধ্যে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দায়িত্বভার নেপালের প্রাক্তন ইলেকট্রিকাল অথোরিটির প্রধান কূলমন ঘিসিং-এর হাতে তুলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দায়িত্বে থাকতে পারেন বরিষ্ঠ আইনজীবী ওম প্রকাশ আরিয়াল। প্রাক্তন অর্থসচিব রামেশ্বর খানালের দায়িত্বে অর্থমন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হতে পারেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল বালা নন্দ শর্মা। কারকির ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, বাকি মন্ত্রকের দায়িত্বভার নিয়ে আলোচনা চলছে। সোমবারের মধ্যেই নতুন মন্ত্রীসভার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যান্য প্রত্যাশিত নিয়োগের মধ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রকের জন্য প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক পরশ খাড়কা এবং ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহন মন্ত্রকের জন্য রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম “পাঠাও নেপাল”-এর প্রতিষ্ঠাতা অসীম মান সিং বাসনেটের নাম সম্ভাব্যদের তালিকায় রয়েছে।
বিদ্যুৎ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে পারেন কূলমন ঘিসিং (Kulman Ghisingh)
চারদিন ব্যাপী রক্তক্ষয়ী আন্দোলন এবং গণঅভ্যুত্থানের পর দুর্নীতি-মুক্ত সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বালেন্দ্র শাহের পরেই অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী (Interim PM) হিসেবে জেন-জি এর পছন্দের নাম ছিল সুশীলা কারকি এবং কূলমন ঘিসিং। এই দুটি নাম নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনের সামনে বৃহস্পতিবার জেন-জি এর মধ্যে বিবাদও শুরু হয়।
অবশেষে শুক্রবার সর্বসম্মতি সাপেক্ষে নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি সুশীলা কারকি। তবে নেপালকে বিদ্যুৎ সংকটের হাত থেকে উদ্ধারকারী কূলমন ঘিসিং-এর যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে যুবসমাজে। তাঁকে “আসল দেশভক্ত” বলে মনে করেন নেপালের জেন-জি। নতুন মন্ত্রীসভায় তাঁর হাতেই দেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রক তুলে দিতে ইচ্ছুক অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী।
আগামী ৬ মাসের মধ্যেই নির্বাচন (Nepal Election)
শুক্রবার সুশীলা কারকির শপথ গ্রহণের পরেই রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পৌডেল (Ramchandra Poudel) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন। ২০২৬ এর ৫ মার্চ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ বলে জানানো হয়েছে। রবিবারই সুশীলা কারকি বলেন, “ক্ষমতা ভোগ করতে আসিনি। আগামী ৬ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ করে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন।” এই মর্মে দেশবাসীর সহযোগিতা প্রার্থনা করেন তিনি।