নেপালে ফের জেন জি বিস্ফোরণ! অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি, সেমরা বিমানবন্দরে কার্ফু

Nepal Gen Z Protests

Nepal Gen Z Protests

নেপালে ফের মাথা তুলেছে জেন জি আন্দোলন। চলতি বছরের শুরুর দিকের ভয়াবহ গণঅভ্যুত্থানের পর কিছুদিন শান্ত থাকলেও রবিবার আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেশ। বারা জেলার সেমরা বিমানবন্দরের বাইরে রবিবার সকাল থেকেই বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠেন জেন জি-রা। লক্ষ্য—ইউএমএল নেতা মহেশ বাসনেত। অভিযোগ, আগের আন্দোলনে কার্যত রক্ষাকবচের ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি এবং সমর্থন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে। আর সেই ক্ষোভই নতুন করে আগুন ধরিয়ে দিল পরিস্থিতিতে।

Advertisements

রাস্তা দখল, বিমানবন্দরের সামনে বিক্ষোভ—পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে

সূত্রের খবর, রবিবার একটি রাজনৈতিক সভায় যোগ দিতে বারা জেলায় পৌঁছনোর কথা ছিল ইউএমএল নেতাদের—শঙ্কর পৌদেল ও মহেশ বাসনেতের। সেই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ক্ষোভে রাস্তায় নেমে আসেন আন্দোলনকারীরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দখল হয়ে যায় প্রধান সড়ক। সেমরা বিমানবন্দরের বাইরে জড়ো হতে থাকেন শতাধিক তরুণ-তরুণী। স্লোগান, প্ল্যাকার্ড, এবং তীব্র প্রতিবাদে অচল হয়ে পড়ে এলাকা।

   

একই সঙ্গে শুরু হয় বিমানবন্দরের বাইরে ধর্না। মিনিটে মিনিটে বাড়তে থাকে ভিড়। পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে উঠতে থাকে। নিরাপত্তা বাড়ানো হলেও খুব একটা নিয়ন্ত্রণে আসেনি পরিবেশ।

হাতের বাইরে যাওয়ার আগে কার্ফু Nepal Gen Z Protests

অবস্থা বেগতিক দেখে বারা জেলার জেলাশাসক ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র জরুরি বৈঠক করেন। এরপরই ঘোষণা করা হয় কার্ফু।
দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সেমরা বিমানবন্দর এবং আশপাশের এলাকায় চলাচল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রশাসনের দাবি, এ ছাড়া পরিস্থিতি সামলানোর আর কোনও উপায় ছিল না।

সব ফ্লাইট বাতিল, বিপদে যাত্রীরা

কার্ফু জারির পরই নিরাপত্তার স্বার্থে সেমরা বিমানবন্দর থেকে সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়। ফলে বিপাকে পড়েছেন বহু যাত্রী। এয়ারপোর্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রী-নিরাপত্তাই এখন সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিমান চলাচল চালু করা সম্ভব নয়।

Advertisements

“ঘর পোড়া গোরু”, নেপালের সতর্ক প্রশাসন

কয়েক মাস আগেও একই জেন জি আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল নেপাল। দুর্নীতি, বেকারত্ব, রাষ্ট্রীয় অনিয়ম ও রাজনৈতিক জটিলতা নিয়ে উত্তাল হয়েছিল রাজধানী কাঠমান্ডু সহ বহু জেলা। আন্দোলনের চাপে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। পতন ঘটে তাঁর সরকারের।

তাই বর্তমান প্রশাসন আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না। শুরুতেই কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টায় ব্যস্ত জেলা কর্তৃপক্ষ। প্রয়োজনে কার্ফুর মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছে প্রশাসন।

চোখ রাখা হচ্ছে আন্দোলনকারীদের গতিবিধির উপর। পরিস্থিতি যে কোনও সময় আরও জটিল আকার নিতে পারে, এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

World: Nepal’s Gen Z movement flares up again, paralyzing Semra Airport in Barah district with intense protests against UML leader Mahesh Basnet. A curfew has been imposed, leading to flight cancellations, as the administration urgently tries to contain the unrest.