কাঠমান্ডু: যুবসমাজের আন্দোলন প্রতিহত করতে গুলি চালাল পুলিশ, মৃত ২০! আগত প্রায় ৩০০। বাকস্বাধীনতার দাবিতে নেপালের (Nepal) রাজপথে প্রতিবাদে নেমেছেন লক্ষাধিক যুবকযুবতী। কার্ফু উপেক্ষা করে সংসদ ভববনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে উত্তেজিত যুবসমাজ। সোমবার সকাল থেকে ভারতের প্রতিবেশী নেপালে যুব সমাজের আন্দোলনে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। Gen Z আন্দোলনের ঢেউয়ে উত্তাল নেপাল।
কেপি শর্মা অলি সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে এমনিতেই ক্ষোভে ফুঁসছিল নেপালের আমজনতা। তার উপর গত ৪ সেপ্টেম্বর ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ নিষিদ্ধ করে মানুষের বাক স্বাধীনতাও ছিনিয়ে নিতে চাইছে বলে সপ্তাহের শুরুর দিন রাজধানীতে বিক্ষোভে নেমেছেন লক্ষাধিক মানুষ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বানেশ্বরে কার্ফু জারি করেছিল সরকার। নামানো হয় সেনাবাহিনী।
এদিন সংসদ ভবন সহ পার্শ্ববর্তী প্রশাসনিক এলাকায় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ, জলকামানের পর গুলি চালানো শুরু করে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন হাই-সিকিউরিটি জোন সহ রাজধানীর সংবেদনশীল এলাকায় কার্ফু জারি করেছে প্রশাসন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর দেশীয় এবং বিদেশী অ্যাপের কার্যকলাপ এবং অবাঞ্ছিত কন্টেন্টের উপর নজরদারি চালাতে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এক্স, ইউটিউব সহ দেশী, বিদেশী মিলিয়ে মোট ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাতিল করে নেপালের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক। অ্যাপ নিষিদ্ধ করে সাধারণ মানুষের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নেমেছে নেপালের যুবসমাজ।