শাটডাউনের জেরে নাসা থেকে ছাঁটাই ১৫,০০০ কর্মী

ওয়াশিংটন, ৫ অক্টোবর: আমেরিকার ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন বিল পাস না হওয়ায় সোমবার (US Government Shutdown) থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনের ফলে নাসা (NASA)-তে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা…

US Government Shutdown

ওয়াশিংটন, ৫ অক্টোবর: আমেরিকার ফেডারেল সরকারের অর্থায়ন বিল পাস না হওয়ায় সোমবার (US Government Shutdown) থেকে শুরু হওয়া শাটডাউনের ফলে নাসা (NASA)-তে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এনএসএ-র মোট ১৮,২১৮ সিভিলিয়ান কর্মীর মধ্যে ১৫,০০০-এরও বেশি ব্যক্তিকে ফার্লো (অবৈতনিক ছুটি) দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এজেন্সির অধিকাংশ কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়েছে, যদিও আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS) এবং আর্টেমিস মিশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

Advertisements

এই শাটডাউন শুধু নাসার কাজকর্মকেই প্রভাবিত করছে না, বরং মহাকাশ গবেষণা এবং বিজ্ঞানের ভবিষ্যতকেও প্রশ্নবিদ্ধ করছে।শাটডাউনের কারণ হলো কংগ্রেসের সদস্যরা অর্থায়ন বিল নিয়ে একমত হতে পারেনি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বাজেট কাটার প্রস্তাবের মধ্যে এই অবস্থা আরও জটিল হয়ে উঠেছে।

   

৭ হাজারের কমে ১২জিবি র‍্যাম ও ডলবি সাউন্ড যুক্ত Motorola G05 4G কিনুন

নাসার চিফ হিউম্যান ক্যাপিটাল অফিসার কেলি এলিয়টের ইমেল অনুসারে, ফার্লোয় কর্মীরা কোনো বেতন পাবেন না, কিন্তু সরকার পুনরায় খোলার পর ব্যাক পে পাবেন। তবে, এই অবস্থায় শুধুমাত্র ৩,০০০ কর্মীকে আংশিক বা পূর্ণ সময়ের জন্য কাজে রাখা হয়েছে, যারা জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অপরিহার্য।

এর মধ্যে রয়েছে আইএসএস-এর কমান্ড কন্ট্রোল, স্যাটেলাইট মিশন এবং আর্টেমিস প্রোগ্রামের কাজ।নাসার শাটডাউন প্ল্যান অনুসারে, অধিকাংশ গবেষণা কার্যক্রম, শিক্ষা সহায়তা এবং পাবলিক অ্যাক্সেস স্থগিত হয়েছে। জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (JPL)-এর মতো সেন্টারগুলোতে লক্ষ লক্ষ ডলারের ক্ষতি হচ্ছে, এবং ডিপ স্পেস রোবটিক মিশনের কাজ বন্ধ।

নাসা ওয়াচের রিপোর্ট অনুসারে, JPL-এ অক্টোবরে ফেজ টু রি-অর্গানাইজেশনের ফলে ৪,০০০ থেকে ৫,৫০০ কর্মীর চাকরি যেতে পারে। এছাড়া, জানুয়ারি এবং জুন মাসে চালু হওয়া ভলান্টারি ডিফার্ড রেসিগনেশন প্রোগ্রামে ৩,৮০০-এর বেশি কর্মী চলে গিয়েছেন, যার ফলে নাসার কর্মী সংখ্যা জানুয়ারি ২৬ নাগাদ ১৪,০০০-এ নেমে আসবে।

আর্টেমিস প্রোগ্রাম, যা চাঁদে মানুষের প্রত্যাবর্তনের লক্ষ্যে চলছে, এই শাটডাউন থেকে অক্ষত রয়েছে। স্পেসএক্স এবং ব্লু অরিজিনের সঙ্গে যৌথ মিশনের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। নাসার এক্সপ্লোরেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট মিশন ডিরেক্টরেটের অ্যাকটিং ডেপুটি অ্যাসোসিয়েট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর লেকিয়েশা হকিন্স সেপ্টেম্বরে বলেছিলেন, “আর্টেমিস ২-এর মতো সেফটি ক্রিটিকাল মিশন চালিয়ে যাওয়া হবে।”

তবে, গবেষণা অনুদানগুলো শুধুমাত্র “প্রেসিডেনশিয়াল প্রায়রিটিজ”-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হলে ফান্ডিং পাবে, যা অনেক প্রকল্পের জন্য উদ্বেগের কারণ।এই শাটডাউনের প্রভাব শুধু নাসায় সীমাবদ্ধ নয়। হাউস্টনের জনসন স্পেস সেন্টারে মিশন কন্ট্রোল চালু থাকলেও, ফুড ভেন্ডর এবং ফিটনেস সেন্টারের মতো সার্ভিস সীমিত।

স্পেস সেন্টার হাউস্টনের মতো ভিজিটর সেন্টারগুলো খোলা রয়েছে, কিন্তু সামগ্রিকভাবে অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে। ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে আলোচনা বন্ধ হয়ে গেছে, কারণ একটি এক্সিকিউটিভ অর্ডার নাসাকে “ইন্টেলিজেন্স” এজেন্সি হিসেবে পুনঃসংজ্ঞায়িত করেছে। এই পরিবর্তন ফেডারেল সার্ভিস লেবার ম্যানেজমেন্ট স্ট্যাচুট থেকে বাদ দেয়।