দুই মহাকাশচারী বুচ উইলমোর ও সুনীতা উইলিয়ামস (Sunita Williams) আপাতত বন্দি মহাকাশেই। আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে দিন কাটছে সুনীতা ও তাঁর সঙ্গী নভোচরের।
গত জুন মাসে মহাকাশে রওনা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত নভোচর সুনীতা উইলিয়ামস। মাত্র ৮-১০ দিনের জন্য মহাকাশ সফরের প্রস্তুতি নিয়ে বুচ উইলমোরের সঙ্গে ইলন মাস্কের বোয়িং স্টারলাইনার মহাকাশযানে চেপে পাড়ি জমান সুনীতা উইলিয়ামস।
ভারতে ছাত্র আত্মহত্যার ‘মহামারী’ ছাপিয়েছে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে, NCRB রিপোর্টে চাঞ্চল্য
প্রথমে মনে করা হয়েছিল যান্ত্রিক ত্রুটি সারিয়ে সুনীতাদের নিয়ে ফিরবে বোয়িং স্টারলাইনার। পরে জানা যায়, তাঁদের না নিয়েই পৃথিবীতে ফিরে আসবে মহাকাশযানটি। সেপ্টেম্বরের শুরুতেই ওই মহাকাশযান ফিরে আসবে পৃথিবীতে।
শরীরের ওপর মধ্যাকর্ষণ টান না থাকায় মহাকাশে মানবদেহের পেশি ও হাড়ের ঘনত্ব দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে। দুই সপ্তাহ পরেই পেশির ঘনত্ব ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। ছয় মাস থাকলে তা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে। এ ছাড়াও মহাকাশে থাকলে দ্রুত হারে কমতে থাকে লাল রক্তকণিকার পরিমাণ। সে ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে রক্তাল্পতার মতো শারীরিক সমস্যারও।
ফোঁস মন্তব্য-জুনিয়র ডাক্তারদের হুমকি! বিতর্ক বাড়তেই তড়িঘড়ি সাফাই দিলেন মমতা
তবে নাসার দাবি, এখনই সুনীতা এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোরের পৃথিবীতে ফেরা সম্ভব নয়। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে তাঁদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে আরও একটি মহাকাশযান পাঠাবে নাসা।
মাদক পাচার, শিশু পর্নোগ্রাফি চালাত টেলিগ্রাম, কাঠগড়ায় পাভেল
তবে সময় যত এগোচ্ছে, বাড়ছে আশঙ্কা। দীর্ঘ দিন ধরে মহাকাশে আটকে থাকায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে সুনীতা ও বুচের। যদিও প্রাণ সংশয়ের মতো অবস্থা এখনও হয়নি বলেই দাবি নাসার।