পাকিস্তান (munir) বরাবরের মতোই আবার ও মিথ্যের জালে জড়িয়ে গেছে। পাহালগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর সবাই বুঝে ফেলেছে পাকিস্তান কিভাবে সন্ত্রাসবাদ কে মদত দেয়। বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে মৃত জঙ্গিদের শেষকৃত্যে নামাজ পড়ছেন সেনা কর্তারা। ঠিক এ ভাবেই নিজেদের ভীষণ বুদ্ধিমান মনে করে পাকিস্তান আরেকটি প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর চেষ্টা করেছে।
মুনিরের কীর্তি (munir)
সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির (munir) প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে একটি পুরনো চীনা সামরিক মহড়ার ছবি উপহার হিসেবে দিয়ে মিথ্যা দাবি করেছেন যে এটি ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হামলার ছবি। ভারত তার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপের বিস্তৃত ছবি এবং ভিডিও প্রমাণ শেয়ার করেছিল, যা পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির চিত্র। কিন্তু ভাঙব তবু মচকাব না মনোবৃত্তির মুনির(munir) ভারত কে টেক্কা দিতে পুরনো চীনা সামরিক মহড়ার ছবি ব্যবহার করছে, যা অত্যন্ত হাস্যকর এবং নির্বুদ্ধিতার পরিচয় ।
চীনা মহড়ার ছবিকে পাকিস্তানের হামলা বলে দাবি
জানা গেছে, উপহার হিসেবে দেওয়া ছবিটি আসলে গত পাঁচ বছরে একাধিকবার ব্যবহৃত একটি পুরনো ছবি। এটি চীনের তৈরি পিএইচএল-০৩ নামক একটি মাল্টিপল রকেট লঞ্চারের ছবি, যা প্রথম ২০১৯ সালে প্রকাশিত হয়েছিল এবং ফটোগ্রাফার হুয়াং হাইয়ের নামে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ছবিটি পাকিস্তানের ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির (munir)আয়োজিত একটি উচ্চপর্যায়ের নৈশভোজে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
এই অনুষ্ঠানটি রাজনৈতিক নেতৃত্ব, সশস্ত্র বাহিনীর “অটল প্রতিশ্রুতি” এবং পাকিস্তানের জনগণের “অদম্য চেতনা” সম্মান জানানোর জন্য আয়োজিত হয়েছিল, যা কথিতভাবে অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুসের সময় প্রকাশ পেয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় হাস্যরসের বিষয় হয়ে উঠেছে।
সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা দ্রুতই উল্লেখ করেছেন যে ছবিটি পাকিস্তানের অপারেশন বুনিয়ান-আল-মারসুসের নয়, বরং ২০১৯ সালের চীনা সামরিক মহড়ার। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শেহবাজ শরিফ পাক সেনাপ্রধানকে (munir)২০১৯ সালের চীনা সামরিক মহড়ার ছবি ‘অপারেশন বুনিয়ান’ মেমেন্টো হিসেবে উপহার দিয়েছেন।
মনে হয় না তারা গুগল ইমেজ সার্চ সম্পর্কে কিছু জানে।” আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “পাক প্রধানমন্ত্রী আসিম মুনিরকে ২০১৯ সালের চীনা সামরিক মহড়ার ছবি উপহার দিয়েছেন—ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের গৌরব মিথ্যাভাবে দাবি করে। অথচ ভারত অপারেশন সিঁদুরের সময় নির্ভুল এবং শক্তিশালী হামলার প্রমাণিত প্রমাণ দিয়েছে। অস্বীকার, প্রতারণা এবং ভ্রান্তি পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় নীতি হয়ে থেকেছে।”
ভারতের প্রতিক্রিয়া ও অপারেশন সিঁদুর
পাকিস্তানের (munir)এই প্রোপাগান্ডার প্রেক্ষিতে ভারত তার সামরিক পদক্ষেপের বিশদ প্রমাণ উপস্থাপন করেছে। ২০২৫ সালের ৭ মে শুরু হওয়া অপারেশন সিঁদুরের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওজেকে) জঙ্গি ঘাঁটি গুলোর উপর নির্ভুল হামলা চালিয়েছে। ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধন করেছে, যার ছবি এবং ভিডিও প্রমাণ বিশ্বব্যাপী শেয়ার করা হয়েছে।
এই হামলাগুলো ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার প্রতিক্রিয়ায় চালানো হয়েছিল, যেখানে ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। ভারতের প্রতিনিধি দল, জনতা দল (ইউনাইটেড) সাংসদ সঞ্জয় কুমার ঝা-র নেতৃত্বে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদে জড়িত ভূমিকা এবং ভারতের শূন্য সহনশীলতার নীতি তুলে ধরছে। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সিওলে বলেছেন, “পাকিস্তানকে সমর্থন মানে সন্ত্রাসী সংগঠনকে সমর্থন। পহেলগাঁও হামলা প্রমাণ করে তারা ভারতের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি চায় না।”
জয়পুরে শীর্ষ দুইয়ের লড়াইয়ে পাঞ্জাব–মুম্বই মহারণ
পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি ও সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া
পাকিস্তানের (munir)এই প্রোপাগান্ডা প্রচেষ্টা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। ব্যবহারকারীরা পাকিস্তানের সেনা ও সরকারের এই প্রচেষ্টাকে “হাস্যকর” এবং “প্রতারণামূলক” বলে অভিহিত করেছেন। একজন ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতের বিরুদ্ধে জয়ের দাবি করতে চীনা ছবি ব্যবহার করেছেন।
এটি তাদের বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব প্রকাশ করে।” আরেকজন লিখেছেন, “ভারতের অপারেশন সিন্দুর পাকিস্তানের সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করেছে, আর তারা পুরনো ছবি দিয়ে গৌরব দাবি করছে।”
পাকিস্তানের অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস
পাকিস্তান দাবি করেছে যে তাদের অপারেশন বুনিয়ান-উন-মারসুস ভারতের হামলার জবাবে চালানো হয়েছিল। কিন্তু ভারতের প্রমাণ এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, পাকিস্তানের এই অপারেশন কার্যকরভাবে কোনও ক্ষতি করতে পারেনি। পাকিস্তানের ডিজিএমও ভারতীয় সমকক্ষের সঙ্গে ফোনে কথোপকথনের পর দুই দেশ সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। তবে পাকিস্তানের এই প্রোপাগান্ডা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
ভারতের প্রতিনিধি দলের প্রচেষ্টা এবং পাকিস্তানের মিথ্যা প্রচারণার প্রকাশ বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ভারতের প্রমাণিত তথ্য এবং সামরিক পদক্ষেপের স্বচ্ছতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তার অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে। পাকিস্তানের এই ধরনের প্রোপাগান্ডা তাদের কূটনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতাকে আরও দুর্বল করেছে।
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের (munir) চীনা সামরিক মহড়ার পুরনো ছবিকে ভারতের বিরুদ্ধে হামলার প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা তাদের প্রোপাগান্ডার আরেকটি ব্যর্থ প্রয়াস। ভারতের অপারেশন সিঁদুর এবং স্বচ্ছ প্রমাণ উপস্থাপনের মাধ্যমে পাকিস্তানের মিথ্যা দাবি উন্মোচিত হয়েছে। এই ঘটনা পাকিস্তানের অস্বীকার এবং প্রতারণার নীতিকে আরও স্পষ্ট করেছে, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের অবস্থানকে আরও দুর্বল করছে।