কলকাতা: মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমাগত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। সপ্তম দিনের মাথায় এসে ইরান ও ইজরায়েলের সংঘর্ষ পৌঁছেছে এক বিপজ্জনক মোড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে ইজরায়েল ইরানের খন্ডাব হেভি ওয়াটার নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটির আশপাশে টার্গেটেড স্ট্রাইক চালায়। তার পাল্টা জবাবে তেহরান ইজরায়েলের বৃহত্তম দক্ষিণাঞ্চলীয় হাসপাতাল ‘সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টার’-এ সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
দেশজুড়ে বাজল সাইরেন, আতঙ্কে ইজরায়েল
ইরানের ছোঁড়া একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ইজরায়েলের বিভিন্ন অংশে আছড়ে পড়ায় সকাল থেকেই দেশজুড়ে বাজতে থাকে সতর্কতা সাইরেন। আতঙ্কে মানুষ ছুটে যায় বাঙ্কারে। এই অবস্থায় শান্তির সম্ভাবনা কার্যত ম্লান।
নিউক্লিয়ার টার্গেট বনাম হাসপাতাল: দুই দেশের সরাসরি বার্তা Middle East war escalation
ইজরায়েল যে পরমাণু স্থাপনাগুলিকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তার মধ্যে রয়েছে খন্ডাব ও আরাক। আর সেই দুই এলাকাতেই বর্তমানে সিভিল ইভাকুয়েশন-এর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইরান যে সোরোকা মেডিক্যাল সেন্টারকে নিশানা করেছে, তা বিশুদ্ধ প্রতিশোধের বার্তা বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
“আমি জড়াতে পারি, নাও পারি”- যুদ্ধ নিয়ে দ্বিধায় ট্রাম্প!
এই পরিস্থিতিতে আলোচনার বদলে যুদ্ধ আরও বাড়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। G7 সম্মেলন থেকে আচমকা দেশে ফিরে সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, “আমি এতে যোগ দিতে পারি, আবার নাও পারি। কেউ জানে না আমি কী করব।” তিনি আরও বলেন, ইরান আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও ইজরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র যৌথ অভিযান হতে পারে এমন সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
মধ্যপ্রাচ্য প্রশ্নের মুখে: এবার কি পারমাণবিক সংঘর্ষের দিকেই গড়াচ্ছে যুদ্ধ?
পরপর হামলা, একের পর এক টার্গেট, আর সরাসরি বেসামরিক পরিকাঠামোয় আঘাত—সব মিলিয়ে স্পষ্ট, এই লড়াই আর সীমিত নেই। এখন প্রশ্ন একটাই: বিশ্ব কি এক নতুন যুদ্ধযুগে প্রবেশ করতে চলেছে?
বিশ্ববাসী তাকিয়ে আছে-সমাধানের পথে, নাকি ধ্বংসের দিকে?