১১৬ বছরের ইতিহাসে এমআই ৬ প্রধান নাম না-জানা ‘রহস্যময়ী’ মহিলা! কী তার পরিচয়?

কলকাতা ১ অক্টোবর: সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন দেশের গুপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা (MI6 Chief)। দেশ তথা পৃথিবীর নিরাপত্তার খাতিরে তারা তাদের কাজ করে যায় পর্দার…

MI6 Chief

কলকাতা ১ অক্টোবর: সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন দেশের গুপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা (MI6 Chief)। দেশ তথা পৃথিবীর নিরাপত্তার খাতিরে তারা তাদের কাজ করে যায় পর্দার অন্তরালে থেকে। ঠিক তেমনই ব্রিটেনের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স ৬। ১১৬ বছরের ইতিহাসে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স (এম আই ৬) এর প্রধান হচ্ছেন এক ৪৭ বছরের মহিলা।

Advertisements

তার নাম ব্লেইস মেট্রেওয়েলি। জানা গিয়েছে সংবাদমাধ্যমে আজ পর্যন্ত তার একটা মাত্র ছবি প্রকাশ্যে এসেছে । সে কে ? কেউ জানে না। আজই তিনি এম আই ৬ এর দায়িত্ব নিচ্ছেন। সূত্রের খবর মারফত জানা গিয়েছে সম্ভবত মেট্রেওয়েলি তার আসল নাম না। তার আসল পরিচয় কেউ জানে না এমনকি যে সঙ্গী সারাদিন তাকে সর্মস্থলে সঙ্গে দেয় তার কাছেও সম্পূর্ণ অজানা অচেনা এই মহিলা।

   

তবে প্রশ্ন এটাই যে এই মহিলার মধ্যে এমন কি গুন আছে যে মাত্র ৪৭ বছর বয়েসে এতো বড় পদোন্নতি হয়ে গেল তার। যেখানে এই পদে পৌঁছতে কমপক্ষে ৬০ বছর লাগে সেখানে এতো কম বয়েসে তিনি এই দায়িত্ব নিচ্ছেন। এই গোয়েন্দা সংস্থার তিনটি স্তর আছে কোড এস, কোড কিউ এবং কোড সি। মেট্রেওয়েলি যখন এই সংস্থায় যোগ দেন তখন তিনি ছিলেন কোড এস মানে একজন অফিসার।

Also Read | Shutdown: ভারতকে চাপে ফেলতে গিয়ে স্তব্ধ আমেরিকা!

পরে তাকে প্রমোট করা হয় কোড কিউ তে অর্থাৎ তিনি ছিলেন তখন সাইবার বিভাগের প্রধান। সাইবার ওয়ারফেয়ার কতটা মারাত্মক হতে পারে তা হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। তবে সেদিকে না গিয়ে আমরা বরং আলোচনা করি কে এই মহিলা মেট্রেওয়েলি তার আসল নাম নয়। তবে কি তার পরিচয়। সালটা ১৯৩৯ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে।

এক USSR সৈনিক নাম কনস্টান্টাইন দব্রবলস্কি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। যখন হিটলার USSR সেনার উপরে হামলা চালায় তখন দলবদল করে দব্রবলস্কি নাৎসি বাহিনীতে যোগ দেয়। সৈনিক হিসেবে আগে থেকেই নাম ছিল তার। নাৎসি দোলে যোগ দিয়ে প্রচুর ইহুদিকে হত্যা করে এই দব্রবলস্কি। একটি পুলিশবাহিনী তৈরী করে তাকে নেতৃত্ব দিতে থাকে যাকে কসাই বলা হত।

সেই সময় USSR সেনাবাহিনী বিশ্বাসঘাতককে ধরতে ৫০ হাজার অব্দি পুরস্কার ঘোষণা করে। ঘটনাচক্রে এই দব্রবলস্কি হলেন মেট্রেওয়েলির নিজের দাদু। পুরস্কার ঘোষণার পরেই হঠাৎ উধাও হয়ে যান দব্রবলস্কি। অনেকেই সন্দেহ করে তিনি যুদ্ধে মারা গেছেন। আবার অনেকেই বলেন হিটলার তাকে কোনো নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলেছেন। দব্রবলস্কি নিজের ছেলে অর্থাৎ মেট্রেওয়েলির বাবা এবং মা কে নিয়ে দেশ ছাড়েন।

Also Read | দশমীতে মদের দোকান খোলা নিয়ে নয়া নির্দেশিকা

ভিন দেশে গিয়ে মেট্রেওয়েলির মা দ্বিতীয় বিয়ে করেন এবং তার দ্বিতীয় স্বামীর পদবি ছিল মেট্রেওয়েলি। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে এই পেশায় যখন ব্লেইস যোগ দেন তখন নিজের পুরোনো পরিচয় সমস্ত ঢেকে ফেলে এই নাম এবং পদবিতেই কাজ শুরু করেন গোয়েন্দা সংস্থায়। মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের জন্য আজকের দিনটি অত্যন্ত ঐতিহাসিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে।