নয়াদিল্লি: বিদ্রোহের ক্ষোভে ফুঁসছে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (PoK0। স্বাধীনতার পর থেকে সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, দাবিদাওয়া না মেটানো এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষের সঙ্গে ‘দুয়োরাণী’ সুলভ আচরণের ক্ষোভের আগুন বর্তমানে পরিণত হয়েছে বিদ্রোহের দাবানলে। সত্যকে ধামাচাপা দিতে মরিয়া পাকিস্তানের প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পেল না ইসলামাবাদদের জাতীয় প্রেস ক্লাব (NPC)।
পাক অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) অশান্ত পরিবেশের আবহে মিডিয়ার কণ্ঠরোধ করতে ইসলামাবাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবে (NPC) কার্যত তান্ডব চালিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ঘটনার ভিডিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, আজাদ জম্মু ও কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির (JAAC) “প্রতিবাদের ডাক” কভার করার জন্য কাশ্মীরি সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে রাজধানী ইসলামাবাদের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ক্লাবটিতে পুলিশ অভিযান চালায়।
এই কমিটিই শাহবাজ শরীফ সরকারের বিরুদ্ধে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) বিক্ষোভের ডাক দেয়। সমজামাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, প্রেস ক্লাবের (NPC) ক্যাফেটেরিয়ায় বসে থাকা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে মারধোর করছে পাকিস্তানের পুলিশ। কয়েকজনকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে আনা হচ্ছে। আরও একটি ভিডিও-তে দেখা যায়, একজন চিত্র সাংবাদিকের কলার ধরে তাঁকে বেধড়ক মারধোর করছে পুলিশ।
“পুলিশের গুন্ডাদের মত আচরণ”!
পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যালেনের সাংবাদিক আনাস মল্লিক বলেন, জেএএসি-র “প্রতিবাদের ডাক” কভার করার জন্য কাশ্মীরের সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ক্লাবে এসেছিল। তিনি বলেন, গুন্ডাদের মত প্রেস ক্লাবে হামলা করেছে পুলিশ। আরও এক সাংবাদিক হামিদ মীর বলেন, “পুলিশ জেএএসি (JAAC)-র সদস্যদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাঁরা প্রেস ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়”।
পাকিস্তানের মানবাধিকার কমিশন (HRCP) সাংবাদিকদের উপর হামলার নিন্দা করে বিষয়টির তদন্তের দাবি জানিয়েছে। পাকিস্তান জুড়ে পুলিশের কঠোর নিন্দার মুখে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভিও। এক বিবৃতিতে নাকভি বলেন, তিনি “দুর্ভাগ্যজনক” ঘটনার বিষয়টি লক্ষ্য করেছেন এবং ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শকের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছেন। এই ঘটনাটি পাকিস্তানে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সংখ্যালঘুদের উপর নৃশংসতা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।