ইসলামাবাদ: বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া পাকিস্তানের (Pakistan) লাহোরে ইজরায়েল এবং আমেরিকা বিরোধী আন্দোলন এবার পরিণত হয়েছে মৃত্যুমিছিলে। তেহেরিক-ই-লাব্বাইকের (TLP) ডাকা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১, আহত প্রায় ৫০। পাঞ্জাব পুলিশকে ‘ইজরায়েলি গুন্ডা’-র তকমা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
সূত্রের খবর, প্যালেস্তাইনের (Palestine) সপক্ষে রাজধানীর উদ্দেশ্যে এদিন সকালে মিছিল করে এগোচ্ছিল ইসলামিক সংগঠন তেহেরিক-ই-লাব্বাইক (TLP)। মিছিল আটকাতে আন্দোলনকারীদের উপর দেদার গুলি চালায় পুলিশ বলে অভিযোগ। গাজায় গণহত্যার বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আন্দোলনের ডাক দেয় তেহেরিক-ই-লাব্বাইক সংগঠন।
শনিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়তে থাকে। সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় উন্মত্ত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে পুলিশ। আন্দোলনকারীরা পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর বৃষ্টি শুরু করেন। মুহূর্তে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় লাহোর, রাওয়ালপিন্ডি , ইসলামাবাদ সহ পাকিস্তানের (Pakistan) একাধিক এলাকা।
টিএলপির (TLP) প্রধান সাদ রিজভির নেতৃত্বে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে মার্কিন দূতাবাসের কাছে বিক্ষোভের জন্য ইসলামাবাদের দিকে অগ্রসর হতে গেলে বেশ কয়েকটি এলাকায় পুলিশ ব্যারিকেড তৈরি করে, শিপিং কন্টেইনার স্থাপন, এমনকি পরিখা খনন করে পুলিশ। নাগরিকদের বড় সমাবেশ এবং আশেপাশের পরিবেশে শান্তি বজার রাখার বার্তা দেয় মার্কিন দূতাবাস। জুম্মাবারের নামাজের পর টিএলপির প্রধান বলেন, “গ্রেফতার হতে, গুলি খেতে কোনও সমস্যা নেই। আমরা শহীদ হতে প্রস্তুত।”
রাজধানী সহ রাওয়ালপিন্ডিতে স্তব্ধ জনজীবন
বিক্ষোভ, বিশৃঙ্খলা এড়াতে রাওয়ালপিন্ডি-ইসলামাবাদকে কার্যত দুর্গে পরিণত কোরে প্রশাসন। শহরের সব গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সিল কোরে দেওয়া হয়েছে, বন্ধ স্কুল-কলেজ, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান। শুক্রবার থেকে বন্ধ কোরে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেটও।