পাকিস্তানের মেয়েদের স্কুলে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ১৪০০ জন ছাত্রী উদ্ধার

আজ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডে একটি স্কুল ভবন থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৪০০ জন ছাত্রীকে। একজন উদ্ধারকারী…

Pakistan school fire

আজ পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চলে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডে একটি স্কুল ভবন থেকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয় প্রায় ১৪০০ জন ছাত্রীকে।

একজন উদ্ধারকারী আধিকারিক জানিয়েছেন যে ঘটনাটি হরিপুর জেলার সিরিকোট গ্রামের সরকারি বালিকা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। অগ্নিকাণ্ডের সময় কয়েকশ শিক্ষার্থী ভিতরে ছিল। পাহাড়ি ভূমির কারণে ফায়ার ব্রিগেডের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে সমস্যায় পড়ে। দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে সাহায্য করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

   

হরিপুরের রেসকিউ ১১২২ এর মুখপাত্র ফারাজ জালাল বলেন, প্রায় ১৪০০ জন শিক্ষার্থী ছিল এবং তাদের সবাইকে স্কুল ভবন থেকে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল ভবনের অর্ধেক কাঠ দিয়ে তৈরি হওয়ায় আগুনে পুরো স্কুল ভবনটি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছে উদ্ধার বিভাগ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্য সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী জানিয়েছে যে স্কুল ভবনে শর্ট সার্কিটের কারণে আগুন লেগেছে। চৌধুরী বলেছেন যে ঘটনার আরও তদন্ত চলছে এবং শীঘ্রই স্কুলটি আবার চালু করা হবে। পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া এমন একটি প্রদেশ যেখানে জঙ্গিদের দ্বারা স্কুল ভবনগুলিতে প্রায়শই হামলা হয় ।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গন্ডাপুর জানিয়েছেন , উদ্ধারকারীরা সময়মতো ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের সঠিক সময় বার করে এনেছে। তিনি আরও জানান যে অগ্নি দুর্ঘটনার বিষয়ে শিক্ষা বিভাগ ও জেলা প্রশাসন প্রতিবেদন জমা দেবে এবং ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রাদেশিক সরকার অগ্নিকাণ্ডের কারণে ক্ষতিপূরণ দেবে বলেও যোগ করেন তিনি ।

পুলিশ সূত্রে খবর ৮ই মে রাতে, উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলার তহসিল শেওয়াতে অজ্ঞাত জঙ্গিরা একটি বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয় বিস্ফোরণ ঘটায়। সেখানে জঙ্গিরা প্রথমে প্রহরীকে নির্যাতন করে এবং পরে স্কুলের দুটি কক্ষ উড়িয়ে দেয়। গত বছরের মে মাসে একই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে মিরালিতে যেখানে মেয়েদের পড়াশুনোর জন্য তৈরী দুটি সরকারি স্কুল উড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।