ফের মাশাহ আমিনি কাণ্ড! হঠাৎ নিখোঁজ অন্তর্বাসে প্রতিবাদী ইরানি তরুনী

ইরানে ফের পুনরাবৃ্ত্তি হতে চলেছে মাশা আমিনি কাণ্ডের (Mahsa Amini)। হিজাবের বিরোধিতা করায় গ্রেফতার করে কারাগারেই হত্যা করা হয়েছিল মাশা আমিনিকে। তার আগে দীর্ঘদিন নিখোঁজ…

Iranian girl taking of clothes at university campus mysteriously goes missing

ইরানে ফের পুনরাবৃ্ত্তি হতে চলেছে মাশা আমিনি কাণ্ডের (Mahsa Amini)। হিজাবের বিরোধিতা করায় গ্রেফতার করে কারাগারেই হত্যা করা হয়েছিল মাশা আমিনিকে। তার আগে দীর্ঘদিন নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এবারও সেই একি ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে আশঙ্কিত গোটা ইরান সহ বিশ্ব। সম্প্রতি ইরানে (Iran) পোশাকবিধির বিরোধিতায় এক তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই অন্তর্বাস পরে হেঁটেছিলেন। তারপাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন জানিয়েছিল গোটা বিশ্ব। 

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন, অস্ট্রেলিয়া থেকে ট্রুডোকে চাপ, কানাডায় গ্রেফতার খালিস্তানি নেতা অর্শ

কিন্তু তারপর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না ওই তরুনীর (Iran girl missing)। এই ঘটনার এক সপ্তাহ পর, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, তরুণীকে ইরানের একটি মানসিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে, তারপর থেকে তার বিষয়ে কোনো নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যায়নি। মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, বিশেষত ইরানের মানসিক হাসপাতালগুলির ইতিহাস বিবেচনা করে।

তেহরানের ইসলামিক আজ়াদ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ওই তরুণী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে পোশাকবিধির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে পোশাক খুলে শুধু অন্তর্বাস পরিধান করে হেঁটে যান। ইরানে নারীদের জন্য কঠোর পোশাকবিধি রয়েছে, যেখানে তাদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তরুণীর এই প্রতিবাদ বিশ্বব্যাপী আলোচনার জন্ম দেয় এবং অনেকেই তার সাহসিকতার প্রশংসা করেন। 

Hyderabad blast: ভয়াবহ বিস্ফোরণ হায়দরাবাদের জুবিলি হিলসে, হতাহত একাধিক

এদিকে, ইরানের সরকারের পক্ষ থেকে এই ঘটনাটির কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করা হয়নি। তবে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, কারণ ইরানে বেশ কিছু মানসিক হাসপাতাল রয়েছে, যেখানে রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণে বন্দী ব্যক্তিদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। বিশেষত, এই তরুণী যদি কোন রাজনৈতিক বা সামাজিক কারণে অভিযোগের শিকার হয়ে থাকেন, তাহলে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Advertisements

অবশ্য, ইরানের মানসিক হাসপাতালগুলির প্রতি মানবাধিকার সংগঠনগুলির সন্দেহ রয়েছে, কারণ এসব হাসপাতালগুলোতে রোগীদের ওপর অত্যাচারের বহু অভিযোগ রয়েছে। কিছু মানসিক হাসপাতালকে ‘প্রতিবাদীদের শাস্তি দেওয়ার জায়গা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে বন্দীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে তরুণীটির অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের শেষ নেই। 

সোমবার থেকেই হাওড়া ময়দান-এস্প্ল্যানেড মেট্রো রুটে রদবদল, জানুন সময়সূচি

এখনও পর্যন্ত তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি। তবে, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি তার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় একাধিক বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং তার মুক্তি ও নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। এই পরিস্থিতি ইরানে মানবাধিকার পরিস্থিতির আরও একটি অন্ধকার দিক তুলে ধরছে, যেখানে নারীদের স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার বজায় রাখার সংগ্রাম অব্যাহত রয়েছে।