অজ্ঞাত পরিচয়ের নিখুঁত লক্ষ্যে নিহত হাফিজ ঘনিষ্ট লস্কর জঙ্গি

lashkar-e-taiba-commander-killed-in-kasur-pakistan

লাহোর: পাকিস্তানের কাসুর জেলায় লস্কর-ই-তৈবা (এলইটি) জঙ্গি সংগঠনের একজন শীর্ষস্থানীয় জঙ্গি শেখ মুয়াজ মুজাহিদকে অজ্ঞাতপরিচয় এক বন্দুকধারী গুলি করে হত্যা করেছে। তার বাড়ির বাইরে হামলাকারী তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়, এবং এই রহস্যজনক হত্যা পাকিস্তানের জঙ্গি নেটওয়ার্কে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।

Advertisements

মুয়াজ ছিলেন ২০০৮ সালের মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সাঈদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং এলইটির পাঞ্জাব প্রদেশের অপারেশনের দায়িত্বশীল নেতা। প্রতিবেদন অনুসারে, পাকিস্তানের সরকারি সূত্র এবং আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স) এখনও হামলাকারীদের পরিচয় জানতে পারেনি, যা জঙ্গিদের মধ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে।

   

শীঘ্রই আসছে 2026 Yamaha R7, পাচ্ছে আধুনিক ফিচার আপডেট

তারা এখন দেশের দেউলিয়া সরকারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করছে, কিন্তু আইএসআই-এর অক্ষমতা সবাইকে আরও উদ্বিগ্ন করেছে।ঘটনাটি ঘটে গতকাল রাতে কাসুরের একটি শান্ত মহল্লায়। মুয়াজ তার বাড়ি থেকে বের হয়ে একটি মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন, যখন দুই-তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে। পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, হামলাকারীরা অ্যাকিউরেট শুটিং করে মুয়াজের মাথা এবং বুকে গুলি লাগে, এবং তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান।

Advertisements

স্থানীয় সাক্ষীরা বলছেন, “গুলির শব্দ শুনে আমরা সবাই ভয়ে কাঁপছিলাম। তারা পালিয়ে গেল, কোনো চিহ্ন রাখল না।” পুলিশ এবং আইএসআই তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে, কিন্তু এখনও কোনো সূত্র পাওয়া যায়নি। এই হত্যা পাকিস্তানের জঙ্গি ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায় যোগ করেছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ শত্রুর ছায়া পড়েছে।শেখ মুয়াজ মুজাহিদ ছিলেন এলইটির একজন শীর্ষ স্থানীয় নেতা এবং কুখ্যাত জঙ্গি।

১৯৮০-এর দশকে লাহোরে জন্মগ্রহণকারী মুয়াজ হাফিজ সাঈদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত হয়ে এলইটির সামরিক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন। মুম্বই হামলায় এলইটির ভূমিকা ছিল কেন্দ্রীয়, এবং মুয়াজ ছিলেন সেই অপারেশনের লজিস্টিকস এবং রিক্রুটমেন্টের দায়িত্বশীল। তিনি পাকিস্তান-ভারত সীমান্তে অপারেশনের কমান্ডার ছিলেন এবং এলইটির এয়ার উইং এবং মেরিন ট্রেনিং-এরও দায়িত্বে ছিলেন।

আমেরিকার ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ২০১২ সালে তাঁকে টার্গেট করে, এবং ভারত তাঁকে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং টেররিস্টদের তালিকায় রাখে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি পাঞ্জাবে এলইটির নতুন রিক্রুটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন, যা ভারতের বিরুদ্ধে আরও হামলার পরিকল্পনার অংশ ছিল। তার মৃত্যু এলইটির জন্য বিরাট ধাক্কা, কারণ হাফিজ সাঈদের মতো বয়স্ক নেতাদের পর তিনিই ছিলেন সক্রিয় অপারেশনের মূল স্তম্ভ।