জঙ্গি সংগঠন খালিস্তান লিবারেশন ফোর্স (KLF) প্রতিষ্ঠাতা লখবীর সিং রোদে সোমবার পাকিস্তানে(Pakistan) মারা গেল। গত শুক্রবার তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিল এই মোস্ট ওয়ান্টেড শীর্ষ জঙ্গি নেতা। লখবীর রোদের ভাই এবং প্রাক্তন অকাল তখত জথেদার জসবীর সিং রোদ তার বড় দাদার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে।
72 বছর বয়সী লখবীর আন্তর্জাতিক শিখ যুব ফেডারেশন (ISYF) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতাদের একজন। এই সংগঠনটি সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ আইনের অধীনে ভারতে নিষিদ্ধ। 1982 সালে খালিস্তান আন্দোলনে যোগ দেয় এবং অপারেশন ব্লু স্টারের পরে 1984 সালে আইএসওয়াইএফ প্রতিষ্ঠা করেছিল লখবীর সিং রোদ।
ভারত থেকে পালিয়ে কানাডায় ছিল জঙ্গি নেতা লক্ষ্য। 1991 সালে পাকিস্তানে ঘাঁটি স্থানান্তরিত করে। ভারত সরকারের নজরে থাকা 20 জন্য মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির মধ্যে তার নাম ছিল। 2001 সালে সংসদে জইশ-ই-মহম্মদ সংগঠনের হামলার পর ভারত সরকার লখবীরকে পাকিস্তানের কাছ থেকে প্রত্যর্পণ চেয়েছিল।
2021 সালে লুধিয়ানা কোর্ট কমপ্লেক্সে আইইডি বিস্ফোরণের পরে রোড এবং কেএলএফ নেতা লখবীর জড়িত বলে মনে করে ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার এনআইএ। রোদের ভাগ্নে এবং প্রাক্তন অকাল তখত জটেহেদার জসবীর সিং রোদের ছেলেকে RDX এবং একটি টিফিন বোমা উদ্ধারের অভিযোগে পাঞ্জাব পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।
এনআইএ অভিযোগ করেছে লখবীর সিং রোদ পাকিস্তান-ভিত্তিক আন্তঃসীমান্ত চোরাকারবারীদের সহায়তায় ভারতে অস্ত্র পাচার করার জন্য একটি মডিউল তৈরি করেছিল। পাঞ্জাবের শীর্ষ জঙ্গিদের মধ্যে সাথে লখবীর জড়িত। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই-এর সাথে জঙ্গি কার্যকলাপ চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল লখবীরকে।
খালিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা এবং বিতর্কিত প্রচারক অমৃতপাল সিংয়ের গ্রেপ্তারের সময় লখবীরের নাম আবার গোয়েন্দা চক্রের মধ্যে উঠে আসে। গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের মতে, লখবীর ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা অমৃতপালের প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। লখবীরের সংযোগের পর অমৃতপাল সিং ওয়ারিস পাঞ্জাব দে সংগঠন পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। সেই সংগঠনে অমৃতপালের অনুগামীরা লাইসেন্সবিহীন অস্ত্র বহন করছিল।