Weapon More Dangerous than Nuclear Bomb: এই পৃথিবীতে এমন একটি অস্ত্র আছে যার মাধ্যমে কেবল মানুষের জনসংখ্যাই ধ্বংস করা সম্ভব নয়, বরং পশু, পাখি এবং প্রকৃতিও ধ্বংস করা যেতে পারে। এই অস্ত্রটিকে পারমাণবিক বোমার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক বলে মনে করা হয়। এটি ব্যবহার করলে মানুষ একবারে মারা যায় না, বরং ধীরে ধীরে মারা যায়। এটি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র হলো পারমাণবিক বোমা। আমেরিকা হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে এটি ফেলেছিল, যার ফলে ১৯৪৫ সালের শেষ নাগাদ হিরোশিমায় ১,৪০,০০০ এবং নাগাসাকিতে ৭৪,০০০ মানুষ মারা গিয়েছিল। কিন্তু পৃথিবীতে এর চেয়েও বিপজ্জনক অস্ত্র রয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে, বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অস্ত্র হল জৈবিক অস্ত্র। এগুলোর মাধ্যমে যেকোনো এলাকা, দেশ বা সমগ্র বিশ্বে মহামারী ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং এর ফলে লক্ষ লক্ষ কোটি মানুষ মারা যেতে পারে। যদি আমরা জৈবিক অস্ত্রকে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করি, তাহলে এগুলো এমন অস্ত্র যা বিস্ফোরিত হয় না, কিন্তু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক এবং বিষাক্ত পদার্থ ব্যবহার করে মানুষকে হত্যা করতে পারে।
জৈবিক আক্রমণের কারণে মানুষ অসুস্থ হতে শুরু করে এবং পরে তারা মারা যায়। কিছু লোক করোনা ভাইরাসকে চিনের জৈবিক অস্ত্র বলে অভিহিত করেছিল। তখন তত্ত্বটি ছিল যে চিন উহান ল্যাব থেকে করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে, লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা গেছে এবং বিশ্ব অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে। চিন আবারও এর সুবিধা পেল। তবে, এটি কেবল একটি দাবি, এটি কখনই নিশ্চিত করা যায়নি। বলা হয় যে রাশিয়া, আমেরিকা, চিন এবং জার্মানি সহ বিশ্বের প্রায় ১৭টি দেশ জৈবিক অস্ত্র তৈরি করেছে, কিন্তু কখনও প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেনি। সময় এলে আমরা এর ব্যবহার দেখতে পাব, তবে জৈবিক অস্ত্র কখনই ব্যবহার না করাই বিশ্বের সর্বোত্তম স্বার্থে।