কীভাবে একটি তিমি রাশিয়ার গুপ্তচর হয়ে উঠল? স্পাই মাছের এই গল্প আপনাকে অবাক করবে

Russian Spy Whale: গুপ্তচরবৃত্তিতে পশুদের ব্যবহার করার প্রথা বহুকাল ধরে চলে আসছে। পায়রা এই কাজের জন্য সবচেয়ে দুষ্ট বলে মনে করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্তা…

Beluga whale

short-samachar

Russian Spy Whale: গুপ্তচরবৃত্তিতে পশুদের ব্যবহার করার প্রথা বহুকাল ধরে চলে আসছে। পায়রা এই কাজের জন্য সবচেয়ে দুষ্ট বলে মনে করা হয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বার্তা প্রদানের জন্য পায়রা ব্যবহার করা হতো। আজ, পায়রার পায়ে ক্যামেরা লাগিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য ব্যবহার করা হয়। এগুলো ছাড়াও সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ডলফিন, বিড়াল, ইঁদুর ও কাঠবিড়ালিকেও গুপ্তচর হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।

   

Russian Spy Whale: Hvaldimir নামকরণ করা হয়

কিছু সময় আগে, একটি সাদা তিমি (White Whale) গুপ্তচরবৃত্তির জন্য খবরে ছিল। এই তিমি রাশিয়ার জন্য গুপ্তচর (Russian Spy) বলে জানা গেছে। এর নাম রাখা হয়েছিল হাভালদিমির (Hvaldimir)। তিমি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমিরের জন্য নরওয়েজিয়ান শব্দ ‘হভাল’ একত্রিত করে এর নামটি তৈরি করা হয়। তবে গত বছর এই মাছটি মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ২০২৪ সালের ৩১ শে আগস্ট নরওয়ের উপকূলে মাছ ধরতে গিয়ে বাবা-ছেলে এই বেলুগা মাছটিকে (Beluga Whale) মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এরপরই তিমিটির মৃত্যু নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়।

Russian Spy Whale Hvaldimir

Russian Spy Whale: মেশিনটি তিমির শরীরের সঙ্গে সংযুক্ত ছিল

14 ফুট লম্বা এবং প্রায় 2700 পাউন্ড ওজনের এই তিমিটি 2019 সালে প্রথম ক্যামেরায় ধরা পড়ে এবং তারপর থেকে এটি আলোচনায় আসে। তার গলায় একটি পট্টি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, যা বোঝায় যে এটি একটি পোষা তিমি। রিপোর্ট অনুসারে, একটি ক্যামেরার সঙ্গে একটি মেশিনও স্থাপন করা হয়েছিল, যার উপরে রাশিয়ান শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ লেখা ছিল।

Russian Spy Whale: অভিযোগ, প্রশিক্ষণ দিয়েছিল রুশ সেনা

অভিযোগ, এই তিমিটিকে রাশিয়ান নৌবাহিনী (Russian Navy) প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। এমতাবস্থায় একে রাশিয়ার গুপ্তচর তিমিও (Russian Spy Whale) বলা চলে। যদিও রাশিয়া কখনোই তা মেনে নেয়নি। অন্যদিকে গোটা বিশ্ব প্রশ্ন তুলছিল যে কাউকে গুপ্তচর বানানো যায় কি না? একই সময়ে, অনেক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে এই তিমিটি মানুষ এবং পর্যটকদের প্রতি অত্যন্ত সৎ ছিল। এই তিমিটি মানুষের সঙ্গে এবং জলের নিচে বল নিয়ে খেলত। তিমিটি রাগবিও খেলত।