Russia Ukraine War: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকা। ২৮ ফেব্রুয়ারি হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের সময় ক্যামেরায় উত্তপ্ত বিতর্ক ধরা পড়ে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে জেলেনস্কি আমেরিকান সাহায্যের জন্য ‘কৃতজ্ঞ’ নন। ট্রাম্প এমনকি বলেন যে হয় একটি চুক্তি করুন বা আমাদের সাহায্য ভুলে যান। দুই নেতার মধ্যে মতপার্থক্য ইউক্রেনের এগিয়ে যাওয়ার পথকে কঠিন করে তুলছে।
আমেরিকা ইউক্রেনকে কতটা সাহায্য করেছিল?
আমেরিকা ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত ইউক্রেনকে ২০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সাহায্য করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সামরিক, অর্থনৈতিক ও মানবিক সহায়তা।
1. সামরিক সহায়তা: আমেরিকা ইউক্রেনকে প্রায় 100-110 বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে HIMARS রকেট সিস্টেম, প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা, জ্যাভলিন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, ড্রোন এবং গোলাবারুদ।
2. অর্থনৈতিক সাহায্য: আমেরিকা ইউক্রেনকে 60-70 বিলিয়ন ডলার দিয়েছিল সরকার চালাতে, পুনর্গঠন করতে এবং সাধারণ মানুষের চাহিদা মেটাতে।
3. মানবিক সহায়তা: আমেরিকা শরণার্থী, খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার জন্য ইউক্রেনকে 15-20 বিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
আমেরিকা এত অস্ত্র দিয়েছে
আমেরিকা ইউক্রেনকে 10,000 টিরও বেশি জ্যাভলিন ক্ষেপণাস্ত্র, 1,000 টিরও বেশি HIMARS রকেট এবং 50 টিরও বেশি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম সরবরাহ করেছে। ইউক্রেনকে 2 মিলিয়নেরও বেশি আর্টিলারি শেল দেওয়া হয়েছিল, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রন্টে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়।
আমেরিকা প্রত্যাহার করলে এই সমস্যা দেখা দেবে
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিমাসে গড়ে ১ লাখ ১৫৫ মিমি শেল ব্যবহার করে ইউক্রেন। আমেরিকা ছাড়া ইউরোপ একা এই চাহিদা পূরণ করতে পারবে না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের উৎপাদন প্রতি বছর 5-6 মিলিয়ন শেল। যেখানে ইউক্রেনের প্রতি বছর 12-15 লাখ শেল প্রয়োজন। আমেরিকা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিলে, রাশিয়ার বায়ু ও স্থল বাহিনী আমেরিকান ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (HIMARS, Patriot) ছাড়াই শক্তিশালী হবে। ইউক্রেনের 7-10 লাখ সক্রিয় সেনা এবং রিজার্ভ রয়েছে। কিন্তু তাদের প্রশিক্ষণ, অস্ত্র এবং বেতনের জন্য বাইরের সাহায্যের প্রয়োজন, যা একমাত্র আমেরিকাই করতে পারে। অন্যান্য দেশও ইউক্রেনকে সাহায্য করছে, তবে তাদের পরিমাণ খুবই কম। নরওয়ে তার জিডিপির 1.71% (প্রায় 8 বিলিয়ন ডলার) দিয়েছে। জার্মানি ২০ বিলিয়ন ইউরো এবং ব্রিটেন ১০ বিলিয়ন পাউন্ড দিয়েছে। তবে এই সাহায্য আমেরিকার মতো নয়।