সকল দেশেরই উদ্ভাবনী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র প্রযুক্তি রয়েছে। ব্রিটেনেরও (Britain) একটি নির্ভুল-নির্দেশিত ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। আজ, আমরা আপনাকে এটি সম্পর্কে বলব। ব্রিটেনের ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র (Brimstone missile) আধুনিক যুদ্ধের চেহারা বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রাখে। এর গতি, নির্ভুলতা এবং উন্নত প্রযুক্তি এটিকে বিশ্বের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্রগুলির মধ্যে একটি করে তুলেছে।
ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্রিটিশ-নির্মিত একটি আকাশ থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র যা MBDA UK দ্বারা তৈরি। এটি যুদ্ধবিমান, হেলিকপ্টার, ড্রোন এবং স্থল-ভিত্তিক লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে। আসুন এর বৈশিষ্ট্যগুলি জেনে নিন।
ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্রের সবচেয়ে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হল এর মাল্টি-টার্গেট ট্র্যাকিং সিস্টেম। এটি একই সাথে একাধিক লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে এবং নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম। শত্রুর যানবাহন, ট্যাঙ্ক বা বাঙ্কার অনিবার্য।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটিতে ‘ফায়ার-অ্যান্ড-ফর্গেট’ প্রযুক্তি রয়েছে, যার অর্থ হল একবার উৎক্ষেপণ করা হলে, এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য পাইলটের প্রয়োজন হয় না। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার লক্ষ্যবস্তু খুঁজে বের করে ধ্বংস করে।
ব্রিমস্টোনকে যে কোনও আবহাওয়ায় কাজ করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, তা সে কুয়াশাচ্ছন্ন, বৃষ্টিপাতের, এমনকি রাতের অন্ধকারেও হোক। এর মিলিমিটার-তরঙ্গ রাডার সিস্টেম এটিকে দ্রুত লক্ষ্যবস্তু সনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে সক্ষম করে।
ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় ১২ থেকে ২০ কিলোমিটার। তবে, কিছু নতুন সংস্করণ ৪০ কিলোমিটারেরও বেশি পাল্লার লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। এর গতি এত বেশি যে লক্ষ্যবস্তু থেকে পালানোর কোনও সম্ভাবনা থাকে না।
ব্রিটেন আফগানিস্তান, সিরিয়া এবং লিবিয়া সহ অসংখ্য অভিযানে ব্রিমস্টোন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। ইউক্রেন সম্প্রতি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি পেয়েছে, যা রাশিয়ান ট্যাঙ্ক ধ্বংস করেছে।






