রকেট প্রপেল্যান্টকে খেলনা মনে করে চরম পরিণতি শিশুর

kandhkot-rocket-propellant-explosion-children-killed-kashmore

করাচি: খেলতে খেলতেই চিরবিদায়। নিষ্পাপ আনন্দ মুহূর্তের মধ্যে পরিণত হল রক্তক্ষয়ী দুর্ঘটনায়। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের কাশ্মোর জেলায় কান্দখোট শহরের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হল একাধিক শিশুর আর এই মর্মান্তিক ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি রকেট প্রপেল্যান্ট, যা শিশুদের খেলনার মতো মনে হয়েছিল।

Advertisements

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামের পাশে মাঠে খেলা করছিল কয়েকজন শিশু। সেখানেই তারা কৌতূহলবশত একটি অদ্ভুত রঙিন বস্তু খুঁজে পায়। জিনিসটির প্রকৃতি বুঝতে না পেরে মাটিতে আঘাত করে, নেড়ে চেড়ে ও ছুঁড়ে ছুঁড়ে খেলা শুরু করে। হঠাৎই জোরালো বিস্ফোরণ—পরক্ষণেই চারপাশ জুড়ে ধুলো, ধোঁয়া আর আর্তনাদ। হাসির শব্দ মিলিয়ে গেল চরম আতঙ্কে।

   

মাত্র 13,999 টাকায় Motorola নিয়ে এল 24GB র‍্যাম, 50MP AI ক্যামেরা ও 7000mAh ব্যাটারির নতুন ফোন

পুলিশ বলছে “রঙিন হওয়ায় শিশুদের চোখে খেলনার মতো লেগেছে” প্রশাসনের মতে “প্রপেল্যান্টটি রঙিন হওয়ায় বাচ্চারা এটিকে বিপজ্জনক কিছু বলে ভাবেনি। খেলার সময়ই বিস্ফোরণ ঘটে।” তারা আরও জনিয়েছে, “শিশুরা একই উপজাতির। তারা গ্রামের পাশের চরে খেলছিল। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এবং কয়েকজন গুরুতরভাবে দগ্ধ হয়। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।”

Advertisements

“এটি শক্ত-প্রপেল্যান্ট—দীর্ঘদিন বিস্ফোরক শক্তি ধরে রাখতে পারে” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে বস্তুটি solid propellant, অর্থাৎ এমন পদার্থ যা বহুদিন জ্বালানি বা বিস্ফোরক শক্তি ধরে রাখতে সক্ষম। এ ধরনের প্রপেল্যান্ট সাধারণত ব্যবহৃত হয় রকেট লঞ্চার, ভারী যুদ্ধাস্ত্র, বিস্ফোরক সামগ্রী বহনে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড প্রপেল্যান্টের টুকরোগুলি সংগ্রহ করেছে এবং বিস্তারিত ফরেনসিক পরীক্ষা চলছে।

প্রশাসন জানিয়েছে সিন্ধ প্রদেশের নির্জন নদীবক্ষ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরেই অপরাধচক্রের আধিপত্য আছে। তারা প্রায়শই আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাচল করে এবং পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে এসব সামগ্রী অসংরক্ষিত অবস্থায় ফেলে রেখে যায় ফলে গ্রামবাসীদের জীবন হুমকির মুখে পড়ে।
শিশুদের মৃত্যুর পর প্রশাসনিক উদ্যোগ জোরদার হলেও এলাকায় আতঙ্ক গভীর। এই দুর্ঘটনা আবার মনে করিয়ে দিল যুদ্ধাস্ত্র, অপরাধচক্র ও বিস্ফোরকের ছায়ায় জীবন কাটানোর ভয়াবহ পরিণতি সবচেয়ে বেশি বহন করতে হয় নির্দোষ সাধারণ মানুষকে।