নয়াদিল্লি: সংবাদমাধ্যমকে সুরক্ষা দিতে যে ব্যর্থ শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকার ফের একবার তার প্রমাণ উঠে এল। পাকিস্তানের (Pakistan) সিন্ধ প্রদেশে বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারালেন তুফাইল আহমেদ রিন্দ নামক এক সাংবাদিক (Journalist)। বুধবার সকালে নিজের বাচ্চাদের স্কুলে দিতে গিয়ে মারা যান ওই সাংবাদিক। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় তাঁর গাড়ি। এখনও পর্যন্ত বন্দুকবাজকে শনাক্ত করা যায়নি।
ঘটনার পরে সাংবাদিক রিন্দের দেহকে পুলিশ মিরপুর মাথেলো হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা রিন্দকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তুফাইল আহমেদ রিন্দের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। সিন্ধ প্রদেশে আরও এক সাংবাদিকের হত্যার ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পাকিস্তানের নিরাপত্তা।
মে মাসেই মিরপুর মাথেলোর কাছে নাসরুল্লাহ গাডানি নামক এক সাংবাদিককে (Journalist) গুলি করে হত্যা করে এক অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজ। এছাড়াও ঘোটকির রাওয়ান্তি এলাকায় বাচাল ঘুনিও নামক এক সাংবাদিকের ঠিক একই ভাবে মৃত্যু হয়। সিন্ধ প্রদেশের কাটচা এলাকায় কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। এই নিয়ে সরকারেরও কোনও হেলদোল নেই।
সাংবাদিক-মিডিয়ার উপর আক্রমণে পাক প্রশাসন নিরুত্তাপ
সম্প্রতি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কভারেজ করতে যাওয়ায় ইসলামাবাদের জাতীয় প্রেস ক্লাবে পুলিশের হামলার ঘটনা ঘটে। প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের কলার ধরে প্রহার করতে দেখা যায় পুলিশকে। পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যালেনের সাংবাদিক আনাস মল্লিক বলেন, জেএএসি-র “প্রতিবাদের ডাক” কভার করার জন্য কাশ্মীরের সাংবাদিকদের গ্রেফতার করতে পুলিশ ক্লাবে এসেছিল। তিনি বলেন, গুন্ডাদের মত প্রেস ক্লাবে হামলা করেছে পুলিশ।
আরও এক সাংবাদিক হামিদ মীর বলেন, “পুলিশ জেএএসি (JAAC)-র সদস্যদের গ্রেফতার করার চেষ্টা করছে। কিন্তু তাঁরা প্রেস ক্লাবের ক্যাফেটেরিয়ায় থাকা সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়”।