জাপানে 250 কেজি ওজনের বোমা বিস্ফোরণ, আমেরিকায় ‘প্রতিধ্বনি’, কেন বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ হলেন?

Japanese airport explosion:  বর্তমানে জাপানে সবাই পারমাণবিক ট্র্যাজেডির যুগের কথা বলছে। এর কারণ জাপানের বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণ (WWII bomb blast at Miyazaki Airport Japan) হওয়ার…

blast

Japanese airport explosion:  বর্তমানে জাপানে সবাই পারমাণবিক ট্র্যাজেডির যুগের কথা বলছে। এর কারণ জাপানের বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণ (WWII bomb blast at Miyazaki Airport Japan) হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জাপানিদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আসলে, এই বোমা তৈরির তারিখ এবং বছর প্রায় একই। মনে করিয়ে দিচ্ছে সেই সময়ের কথা যখন আমেরিকা জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকিতে অ্যাটম বোমা ফেলে পুরো দেশটিকে ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

কী হয়েছে আসল ঘটনা? বুধবার জাপানের বিমানবন্দরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমেরিকান বোমা বিস্ফোরণ হয়। সৌভাগ্যবশত সেইসময় কাছাকাছি কোনও ফ্লাইট ছিল না, নইলে বড় দুর্ঘটনা ঘটত। এই বোমা ব্লাস্টের কারণে মিয়াজাকি বিমানবন্দরে ৮০টিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে রানওয়েতে খাদের সৃষ্টি হয়েছে। জাপানি আধিকারিকদের মতে, দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের মিয়াজাকি বিমানবন্দরে বোমা বিস্ফোরণের সময় কাছাকাছি কোনো বিমান ছিল না।

   

Japan airport 2 জাপানে 250 কেজি ওজনের বোমা বিস্ফোরণ, আমেরিকায় 'প্রতিধ্বনি', কেন বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ হলেন?

জাপানি আধিকারিকরা জানান, ‘তদন্ত নিশ্চিত করেছে যে জাপানি গ্রামে যে বোমাটি বিস্ফোরিত হয় তার ওজন ছিল প্রায় 500 পাউন্ড। এতে কোনো বিকিরণ ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে এখন আর কোনো বিপদ নেই। এখন আমরা জানার চেষ্টা করছি হঠাৎ বিস্ফোরণের কারণ কী?” এরই একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। জাপানি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ভিডিওতে রানওয়েতে প্রায় সাত মিটার ব্যাস এবং তিন ফুট গভীরে একটি গর্ত দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে বলে জানা গেছে।

Japan airport জাপানে 250 কেজি ওজনের বোমা বিস্ফোরণ, আমেরিকায় 'প্রতিধ্বনি', কেন বিজ্ঞানীরা ব্যর্থ হলেন?

CNN-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মিয়াজাকি বিমানবন্দরটি 1943 সালে একটি নৌ ফ্লাইট প্রশিক্ষণ এলাকা হিসাবে নির্মিত হয়েছিল, যেখান থেকে অনেক পাইলট আমেরিকান বাহিনীকে নিষ্পত্তি করার জন্য যাত্রা করেছিলেন। কয়েকজন পাইলটও এখান থেকে আত্মঘাতী হামলা চালায়। এই পুরো এলাকায় যেখানে বিমানবন্দরটি নির্মিত হয়েছে, সেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় আমেরিকান সেনাবাহিনীর ফেলে দেওয়া বহু জীবন্ত বোমা আবিষ্কৃত হয়েছে। এখন পুরো জাপানি ইকোসিস্টেম এমন ব্যবস্থা করতে ব্যস্ত যাতে এটি আর না ঘটে।

Japan Airport explosion

এই বিস্ফোরণের প্রতিধ্বনি বিমানবন্দর এলাকায় শোনা গেলেও এর শিখা ও ধোঁয়া খবরের মাধ্যমে আমেরিকায় পৌঁছেছে। এটি একটি 80 বছরের পুরানো বোমা ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফেলা বোমা এখনো পৃথিবীর অনেক দেশে পুঁতে আছে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও অসমে সে যুগের বোমা পাওয়া গেছে। এটা কোনো সাধারণ বিষয় নয়, তবে এই ক্ষেত্রে জাপানি বিজ্ঞানীরা কেন এই বোমাটি আগে শনাক্ত করতে পারেননি তা নিয়ে মানুষ বিস্মিত। তারা যদি এই বোমার কথা আগে থেকেই জানত তাহলে কেন জাপানি প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে নিষ্ক্রিয় করা হলো না, উঠছে প্রশ্ন।